।।কবির য়াহমদ।।
লন্ডন আওয়ামী লীগকে বিশাল এক মোমেন্টাম এনে দিয়েছে। প্রফেসর ইউনূস লন্ডনে গিয়ে যে বিরোধিতা আর অপমানের মুখে পড়েছেন, সে রকম হয়ত তিনি ঘুণাক্ষরে চিন্তা করতে পারেননি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমারের সাক্ষাৎ পেতে অনিশ্চয়তাই কেবল নয়, লন্ডনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা একেবারে ডাস্টবিনে মুহাম্মদ ইউনূস ও শফিকুল আলমের ছবি প্রদর্শন করেছে।
স্বাভাবিকভাবে ডাস্টবিনে এই ছবি প্রদর্শনকে সমর্থন করি না। তবে এই খেলা শুরু করেছিলেন দেশে শফিকুল আলম। তিনি বাংলা একাডেমির বইমেলায় গিয়ে যে ন্যক্কারজনক দৃশ্যের অবতারণা করেছিলেন, সেটা এখন তাকে সারাবিশ্বে নিয়ে গেছে। এখন কেবল বাংলাদেশিরাই নয়, ব্রিটিশরাসহ অপরাপর দেশের লোকজনেরা মুহাম্মদ ইউনূস ও শফিকুল আলমের ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবে।
কিয়্যার স্টারমার ব্রিটেনে নেই ডাহা এই মিথ্যা বয়ান শফিকুলের কাছ থেকে আসার পর জানা যাচ্ছে তিনি দেশেই আছেন।
স্টারমার সাক্ষাৎ দিলেন না কেন? কারণ মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচিত সরকারপ্রধান নন; ইউনূস লেবার পার্টির এমপিকে তার দেশে হেনস্তা করছেন। এটা ব্রিটিশ জাত্যভিমানে আঘাত; এর প্রত্যাঘাত তারা করবে না–এমন কি হয়?
তার ওপর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অবস্থান নিয়ে একটা তথ্য দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে তার ভেরিফায়েড পেইজে। মার্ক কার্নি জানাচ্ছেন, কিয়্যার স্টারমার শনিবার অটোয়া যাচ্ছেন।
এখানে রহস্য হঠাৎ কেন মার্ক কার্নি কিয়্যার স্টারমারের সফরের তথ্য দিতে গেলেন? ১৫-১৭ জুন কানাডার আলবের্তার কানানাস্কিসে বসছে ৫১তম জি–৭ শীর্ষ সম্মেলন। সংঘভুক্ত নেতারা অংশ নেবেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে অন্য কারো নামে এমন পোস্ট দেন নাই মার্ক কার্নি, দিয়েছেন কেবল স্টারমারের ক্ষেত্রে।
রহস্য মনে হচ্ছে না? রহস্যই!
আমরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে হোক, পক্ষ-বিপক্ষ না হয়ে অনেক সত্যকে স্বীকার করি না; কিন্তু সবাই জানে মুহাম্মদ ইউনূস কাদের লোক! মার্ক কার্নি কি এখানে আমেরিকার বিরুদ্ধে কানাডার অবস্থানকে অন্যভাবে প্রকাশ করলেন না? শত্রু দেশের ব্যক্তিবন্ধুকে কি অপমান করলেন কূটনৈতিক তরিকায়? কে জানে!