।।সাখাওয়াত হোসেন।।
বাংলাদেশ আজ একদিকে গভীর সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও সাংবিধানিক সংকট । অন্যদিকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে। এই ষড়যন্ত্র কেবল সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন ছিল না,এটি রাষ্ট্রবিরোধী যুদ্ধ। এই ষড়যন্ত্রের নতুন নাম — “জুলাই সনদ”। এর নেপথ্যে রয়েছে ইউনুস চক্র, জামাত-শিবিরের পুরোনো ধ্বংসাত্মক শক্তি, এবং একদল দেশবিরোধী পরাশক্তির দালাল।
জুলাই সনদ: এক বিভাজনমূলক গৃহযুদ্ধের রূপরেখা
জুলাই সনদ কোনো রাজনৈতিক প্রস্তাবনা নয় — এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক ভিত্তিকে ধ্বংস করার প্রকাশ্য ঘোষণা। এই তথাকথিত সনদের মাধ্যমে তারা বলেছে:
• সংবিধান বাতিল করতে হবে।
• রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে হবে।
• তিন বাহিনীর প্রধানদের সরিয়ে দিতে হবে।
• আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি তথাকথিত “গণমানুষের সরকার” প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এটাই কি গণতন্ত্র? নাকি একটি বিদেশি চক্রান্তের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা?
এই চক্রান্ত আসলে বাংলাদেশের ভিত নষ্ট করে, প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করে একটি গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা। এটাই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য — বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা।
ইউনুস: নোবেল জয়ীর মুখোশের আড়ালে এক ষড়যন্ত্রী
ড. ইউনুস আজ শুধু একজন বিতর্কিত ব্যক্তিই নন, তিনি হয়ে উঠেছেন দেশবিরোধী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু। লন্ডন-ওয়াশিংটনের কিছু লবিস্ট গ্রুপ, বিএনপি-জামাতের পরাজিত চক্র, এবং কিছু বিদেশি এনজিওর সাহায্যে তিনি একটি ভয়ঙ্কর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন — যার নাম “জুলাই সনদ”।
তিনি চায় রাষ্ট্রকে দুর্বল করে সেনাবাহিনী ও জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে, প্রশাসনকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলতে, এবং এক সময় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ডেকে এনে দেশের উপর দখলদারিত্ব কায়েম করতে।
এখন সময় — জেগে উঠার, রুখে দাঁড়াবার!
এই মুহূর্তে প্রয়োজন সর্বাত্মক জাতীয় প্রতিরোধ। এই চক্রান্ত শুধু আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয় — এটি আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাই প্রতিরোধের দায়িত্ব সকলের — সাধারণ মানুষ, প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বুদ্ধিজীবী সমাজ, ছাত্রসমাজ, শ্রমিক, কৃষক — সকলকে জেগে উঠতে হবে।
আমাদের সেনাবাহিনী দেশপ্রেমে অটুট — এই বাহিনী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জন্ম নিয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা এখন এই শক্তিকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
এদের প্রতিহত করতে হবে, দেশকে রক্ষার জন্য আজ আর বসে থাকার সময় নেই।
জাতিকে আহ্বান: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করো
১. জুলাই সনদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
২. ইউনুস চক্রের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন করতে হবে।
৩. প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আস্থা ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
4. সংবিধান, রাষ্ট্রপতি, এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অপমানের অপচেষ্টাকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
শেষ বার্তা: দেশ বাঁচাতে হলে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে!
“সংবিধান রক্ষা করলে — দেশ বাঁচবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন থাকবে।
শেখ হাসিনা থাকবেন — বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
ইউনুস ও জামাতসহ কোন অপশক্তির স্থান হবে না— বাংলার মাটি তাদের গ্রহণ করবে না।”
লেখক: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়