বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক আচরণ ও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিশেষ করে তিনি যুক্তরাজ্য সফরে থাকাকালীন লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে তার এক সেমিনারে বলেন- ‘টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশীরা ভোট দেয়’ ও ‘ভোট বা সংস্কার বোঝে না বাংলাদেশীরা’, এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ প্রধান উপদেষ্টার অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, “অবৈধ ও অসংবিধানীয় উপায়ে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস গত দশ মাস ধরে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার করে আসছেন, বিশেষ করে কোনো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বা কূটনৈতিক তাৎপর্যহীন বারবার বিদেশ সফরে যাওয়ার মাধ্যমে। তার সর্বশেষ যুক্তরাজ্য সফর তেমনই ঘটনার একটি পুনরাবৃত্তি। এটি কোনো রাষ্ট্রীয় সফর নয় এবং তিনি যুক্তরাজ্য সরকার, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ কারো কাছে আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেননি।
ছাত্রলীগ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, “ইউনূসের এই কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণ পূর্বে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স ও ভারতের মতো বন্ধু দেশের নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করতে ব্যর্থতার প্রতিফলন। তার এই কাজগুলো বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।”
আন্তর্জাতিক সেমিনারে ইউনূসের বক্তব্য ব্যক্তিগত ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত উল্লেখ করে ছাত্রলীগ বলে “চ্যাথাম হাউজে ইউনূস এই প্রতিষ্ঠানের সঞ্চালক ব্রোনওয়েন ম্যাডক্সের সভাপতিত্বে একটি আলোচনায় অংশ নেন। তিনি যে দেশের সেবা করার দাবি করেন, তার মর্যাদা রক্ষা করার পরিবর্তে তিনি আন্তর্জাতিক দর্শকদের সামনে বাংলাদেশকে বারবার অপমান করেছেন— স্পষ্টতই ব্যক্তিগত ধারনাকে জাতীয় স্বার্থের উপরে স্থান দিয়েছেন , যা সম্পূর্ণরূপে অপমানজনক।”