রাজধানীজুড়ে আজ নতুন এক চিত্র। রাস্তা-ঘাট, মোড়, অলিগলি সবখানে ঢেউ খেলছে জাতীয় পতাকা, মিছিলের আওয়াজে কাঁপছে রাজধানী। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাজারো নেতা-কর্মী আজ একযোগে রাস্তায় নেমেছে, এক দখলদার সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপনের অঙ্গীকারে।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি, জনতার মনে আশার সঞ্চার করছে। বিশেষ করে সাধারণ রিকশাচালক, দিনমজুর, পথচারী, দোকানি এদের মুখে একটাই কথা, “আওয়ামী লীগকে আবার জেগে উঠতে হবে, দেশের জন্য, মানুষের জন্য।”
ঐক্যের বার্তা, প্রতিরোধের প্রস্তুতি গত কয়েকমাসে জাতির চোখে স্পষ্ট হয়েছে অবৈধ ইউনুস সরকার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, শিক্ষাকে শেষ করে দিয়েছে, এবং বিচারব্যবস্থাকে সরকারের হাতের পুতুল বানিয়েছে। এই দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ একটিই শক্তি যারা জনতার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
আজকের কর্মসূচি প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এখন আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ, সুসংগঠিত এবং প্রতিরোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হোক, হামলা-ভয়ভীতি হোক তারা রাজপথ ছাড়ছে না।
জনতার হৃদয়ের আওয়াজ একজন রিকশাচালক জানালেন, “ইউনুসের শাসনে তো রিকশাও চালাইতে ভয় লাগে। পুলিশ ধইরা নেয়, টাকা না দিলে ছাড়ে না। আওয়ামী লীগ থাকলে অন্তত খাইতে পারতাম।”
একজন শিক্ষার্থী বললেন, “ক্যাম্পাস দখল করে রাখছে মৌলবাদী আর ইউনুসের দালালরা। ছাত্রলীগ ছাড়া এখন আর কেউ প্রতিবাদ করে না।”
একজন বৃদ্ধ পথচারী চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, “আওয়ামী লীগ জাগছে, মানে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ জাগছে।” মানুষ বুঝে গেছে, বিকল্প নেই
আজ আর কোনো দ্বিধা নেই সাধারণ মানুষের মনে। যারা এতদিন চুপ করে ছিল, তারা এখন সরব। তারা জানে, ড. ইউনুসের নিযুক্ত তথাকথিত সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগের রাজপথে সক্রিয় হওয়াই একমাত্র উপায়।
আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করে, দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারে। অন্যরা কেবল দেশবিরোধী চক্রান্তে ব্যস্ত।
লড়াই শুরু হয়েছে, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই,আজকের কর্মসূচি কেবল একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়; এটি একটি বিপ্লবের সূচনা।
সারাদেশ এখন তাকিয়ে আছে এই কর্মসূচির দিকে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি মিছিল যেন একেকটি আগুনের ফুলকি, যা একদিন আগুন হয়ে ছড়িয়ে পড়বে গোটা দেশে অবৈধ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে।
দেশ আজ সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে গণতন্ত্র না একনায়কতন্ত্র, স্বাধীনতা না দাসত্ব।
আর এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের মানুষ আর চায় না লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, চক্রান্তকারী ইউনুস সরকারের অপশাসন। আজকের রাজপথের আন্দোলন একটাই বার্তা দিচ্ছে: “আওয়ামী লীগ মানেই দেশ বাঁচানোর শক্তি।”