বাংলাদেশ আজ এক অন্ধকারময় অধ্যায়ের মুখোমুখি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া এই রাষ্ট্রে আজ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসেছে সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা এক সময় #রাজাকারের ভূমিকায় ছিল, #জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এবং গণতন্ত্রকে বারবার গলা টিপে #হত্যা করেছে। আজ যারা রাষ্ট্র চালাচ্ছে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, বরং ষড়যন্ত্র, বিদেশি চক্রান্ত, এবং লোভী রাজনীতির এক কলঙ্কিত মিশ্রণে ক্ষমতা দখল করেছে। এই #অবৈধ, অগণতান্ত্রিক সরকারটির নেতৃত্বে রয়েছেন তথাকথিত “নোবেলজয়ী” ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি বাস্তবে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন।
এ সরকারের উদ্দেশ্য একটাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিঃশেষ করা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলা, এবং বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তানি ভাবধারার এক অনুগত উপনিবেশে পরিণত করা। তারা দেশের ৯০ ভাগ মানুষের চেতনাকে অগ্রাহ্য করে ১০ ভাগ সুবিধাবাদী, ধর্মান্ধ ও #জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হয়ে দেশ চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়াই এখন ইতিহাসের দাবি।
এই পরিস্থিতিতে কোনো নিরপেক্ষ নাগরিক বসে থাকতে পারে না। রাজপথে নামাই এখন একমাত্র বিকল্প। তাই আগামী ১৬ জুন ২০২৫ থেকে সারাদেশব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য একটাই #অবৈধ ইউনুস সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করা।
✊ *কেন রাজপথে নামা জরুরি*
এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও রাজাকারপন্থী গোষ্ঠী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে।
জঙ্গিদের বিচার হয়নি, বরং তাদের পুনর্বাসন চলছে।
আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের ওপর চলছে মিথ্যা মামলা, দমন-পীড়ন।
দেশ আজ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে, সাধারণ মানুষ বেকার, ক্ষুধার্ত।
প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, গণমাধ্যম সবকিছু এখন দখলদার সরকারের হাতের পুতুল।
আওয়ামী লীগ কখনোই পালিয়ে যাওয়ার দল নয়। দেশের প্রয়োজনে এই দল রাজপথে থেকেছে, আবারো থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা জানে, রাজপথেই ইতিহাস রচিত হয়। ৫২-র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সব জায়গায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল অগ্রগামী।
আজও আওয়ামী লীগ সেই চেতনার ধারক। দেশবাসীর নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আওয়ামী লীগ আবার রাজপথে নামবে। কারণ, দেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগ থাকলে দেশ বাঁচে, উন্নয়ন হয়, শান্তি থাকে।
আজ কোনো দল নয়, জাতি বিপদের মুখে। এই অবৈধ সরকারকে হটাতে হলে প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, ইউনিয়ন, থানা, জেলা থেকে ঢাকায় ছুটে আসুন। ১৬ জুন থেকে শুরু হোক এক সর্বজনীন প্রতিবাদ, এক গণজাগরণ।
ঢাকা শহর হোক নতুন স্বাধীনতার মঞ্চ।
রাজাকার, জামাত-বিএনপি আর তাদের দোসর ইউনুসকে বিদায় জানাতে এবার রাজপথকেই হতে হবে একমাত্র যুদ্ধের ময়দান। দেশবিরোধী শক্তিকে আর এক মুহূর্তও সহ্য করা যায় না।
✊ *আহ্বান জানানো হচ্ছে*
ছাত্র-তরুণদের, যারা স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মান্ধ শাসন চায় না।
শ্রমিক-কৃষকদের, যারা চায় কাজের অধিকার, ন্যায্য মজুরি।
সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী সকল মুক্তচিন্তার মানুষকে।
গার্মেন্টস, পরিবহন, ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সবার প্রতি আহ্বান।
“ইউনুস সরকার নিপাত যাক, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বাঁচাও!”
“#জঙ্গিবাদের সরকার মানি না, মানব না!”
“আওয়ামী লীগ রাজপথে, এবার হবে চূড়ান্ত ফয়সালা!”