ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই নেতার মধ্যে হওয়া ফোনালাপে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। একই সঙ্গে দুই নেতা এ সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। ক্রেমলিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ সাংবাদিকদের বলেন, উভয়পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি একই। তারা ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এ শত্রুতার অবসান ঘটানো উচিত বলে মনে করেন তারা।
চীনের বক্তব্য : সিএনএনের খবরে বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট এ সংঘাত নিরসনে বড় শক্তিগুলোর প্রতি উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন, যা ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি পরোক্ষ বার্তা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফোনালাপে ইসরায়েলের ইরানবিরোধী পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন দুই বিশ্বনেতা। চলমান সংঘাতে পুতিন আবারও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই শি জিনপিং বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে যেসব বড় শক্তির সংঘাতরত পক্ষগুলোর ওপর বিশেষ প্রভাব আছে, তাদের উচিত পরিস্থিতি ঠা-া করার উদ্যোগ নেওয়া, আগুন উসকে দেওয়া নয়। চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির জন্য ইরান ও ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। চলমান উত্তেজনা কমানোর জন্য বিশেষভাবে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফোনালাপে পুতিনকে জিনপিং বলেন, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো বিশেষ করে ইসরায়েল, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতিতে যাক; যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায় এবং যুদ্ধ অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়।
রাশিয়ার বক্তব্য : ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ও জিনপিং একমত যে, এ সংঘাতের বা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কোনো সামরিক সমাধান নেই। এগুলোর সমাধান শুধু রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়েই সম্ভব। ক্রেমলিন উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে পুতিন রাশিয়ার পক্ষ থেকে মধ্যস্থতার যেকোনো সম্ভাব্য উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তুতির কথা নিশ্চিত করেছেন। চীনের নেতা এমন মধ্যস্থতাকে সমর্থন জানিয়েছেন, কারণ এটি বর্তমান অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমনে সহায়ক হতে পারে। দুই দেশ একমত হয়েছে যে, আগামী দিনগুলোতে তাদের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় থাকবে।