গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে রক্তের বন্যা বইয়ে দেওয়া সেই নরপিশাচদের সাজা কমিয়ে হাইকোর্ট যে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে, তা এই দেশের গত ১০ মাসের আইন-ব্যবস্থার মুখোশ উন্মোচন করেছে। ২২টি নির্মম হত্যার বিচারে “জেহাদি” #সন্ত্রাসীদের ফাঁসির রায় লঘু করা হলো? এটা কোন ন্যায়বিচার? এ কোন দেশের আইন? যেখানে দেশি-বিদেশি নাগরিকসহ নিরীহ মানুষদের গুলি করে-কুপিয়ে টুকরো টুকরো করা হলো, সেখানে #খুনিদের জীবন বাঁচানোর এই ষড়যন্ত্র কাদের স্বার্থে?
মোহাম্মদ ইউনুসের এই অবৈধ সরকারের আসল চেহারা আজ স্পষ্ট। এরা ইসলামিক #জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক। এরা আইএস-জেএমবির রক্তলোলুপ দানবদের রক্ষাকবচ। ২০১৬ সালের সেই বিভীষিকাময় রাতের কথা ভুলে গেছেন? ইতালি, জাপান, ভারতের নাগরিকদের #লাশের স্তূপ দেখেননি? পুলিশের অফিসারদের আত্মাহুতির মূল্য দিলেন না? এই সরকারের নীতিই হলো—”#জঙ্গি রক্ষাই আমাদের প্রথম কর্তব্য”।
ইউনুস সরকারের #জঙ্গি-প্রীতি : রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতার দরকষাকষি
এই রায় কোনো বিচার নয়, বরং ইসলামিক গোষ্ঠীর সাথে ইউনুস গংয়ের আঁতাতের চুক্তি। জঙ্গিদের সাজা কমিয়ে তারা কী বার্তা দিল? “খুন করো, রক্তের নদী বইয়ে দাও, আমরা পিছনে আছি।” এই সরকারের আমলে #জঙ্গিবাদ কেবল প্রশ্রয় পায়নি, রাষ্ট্রীয় মদদ পেয়েছে। আদালতের রায় এখন রাষ্ট্রেরই নির্দেশে লিখিত হচ্ছে। নব্য জেএমবির #সন্ত্রাসীরা ফাঁসির মঞ্চ এড়ালো, কারণ ক্ষমতায় বসা লোকজনও একই মদদপুষ্ট #জঙ্গি নেটওয়ার্কের অংশ।
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও ইসলামিক জেহাদি এজেন্ডা
হলি আর্টিজান হামলা ছিল বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক #সন্ত্রাসের মানচিত্রে বসানোর একটি পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ। আর আজ সেই হামলার মাস্টারমাইন্ডদের রক্ষা করছে ইউনুসের দল। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর চাপ? বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক? সব ভুয়া আলাপ। আসল লক্ষ্য হলো ইসলামিক #জঙ্গিবাদকে টিকিয়ে রাখা, যাতে পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে “#সন্ত্রাসী রাষ্ট্র” হিসাবে চিহ্নিত করে। ইউনুস সরকার সেই এজেন্ডারই সেবাদাস।
#লাশের উপরে ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকা সরকার
এই সরকারের নীতিই হলো—”জঙ্গি রক্ষা = ক্ষমতা রক্ষা”। তারা জানে, ইসলামিক গোষ্ঠীর সমর্থন ছাড়া তাদের টিকে থাকা অসম্ভব। তাই আদালতের রায়ও লেখা হয় ইসলামবাদ, দোহা, কুয়ালালামপুর, আঙ্কারা থেকে আসা রক্তাক্ত হাতেই। ২২টি প্রাণের মৃত্যুর বিনিময়ে খুনিদের কারাগারে আরামদায়ক জীবন? এটাই কি ন্যায়? নাকি ন্যায়ের মৃত্যুই এই সরকারের কায়দা?
রক্তের দাবি অম্লান
হলি আর্টিজানের শোক এখনও তাজা। শহীদদের পরিবার আজ হাইকোর্টের রায়ে চরম অবিচারের শিকার। কিন্তু এই রায়ই শেষ কথা নয়। জনগণের আদালত বড়। ইতিহাসের বিচার বড়। এই সরকার ও তার #জঙ্গি সহযোগীদের বিরুদ্ধে রক্তের দাবি কখনই মিথ্যা হবে না। #জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে ন্যায়বিচারের লড়াই আজও চলমান। আর সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে এই জল্লাদরা নয়, বরং ইতিহাস।