।। মো. হরমুজ আলী ।।
না, আমি অবশ্যই এটা আশা করিনা! বাংলা ভাষাটাই এমন, খালি ডর দেখায়! কী দরকার ছিলো এমন একটা বাগধারার; খালি খালি মানুষের মনে সন্দেহের উদ্রেক করা! এতো-এতো কাঠখড় পুড়িয়ে, একটা এনজিও থেকে মেডেল গ্রহণের উছিলায়, গরীবের টাকার শ্রাদ্ধ করে, ছয় হাজার মাইল উড়ে এসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রবাসীদের গালাগাল হজম করে যে ‘মৃতসঞ্জীবনী’ বৈঠকটি হলো এবং একটা যৌথ বিবৃতিও পড়া হলো, তারপরও কেনো জানি পারস্পরিক বিশ্বাস ’জমাট’ বাঁধছেনা!
এতো সন্দেহ নিয়ে কী পীরিতি হয়! অবৈধ হলেও এটা একটা সরকারতো, না-কি! আপনারাই তাদেরকে বৈধতা দিয়েছেন। এবং, এই দৌড়ে প্রথম হতে পারেননি কারণ ডা: শফিকের ‘ফিটনেস’ আপনাদের থেকে সবদিক থেকেই এগিয়েছিল, তাই রানার্সআপ হয়েছেন! সুতরাং, মনে কষ্ট থাকলেও ধৈর্যতো একটু ধরতেই হবে।
আকাশে-বাতাসে এখন যে নির্বাচনী ডামাডোল, সেটাতো আপনাদেরই অধৈর্য্যেতার কারণে। জামাততো সময় নিচ্ছিলো যাতে করে তাদের ‘ছোটো ভাইরা’ (নাবালক পার্টি) আরেকটু পোক্ত হতে পারে! কিন্তু আপনাদেরই-তো তর সইছিলোনা! যেহেতু নির্বাচন একটা করতে হবে, দুষ্টু লোকেরা যদিও বলে যার ছক না-কি ১৩ জুন, লন্ডনেই আঁকা হয়ে গেছে! সুতরাং সরকার প্রধান হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে তার কী শলাপরামর্শ থাকতে পারেনা! এখানে আমি কিন্তু বেপারী ইউনুসের পক্ষে! তার অবশ্যই অধিকার আছে এধরণের বৈঠক করার এবং এটা পাবলিক না-করার।
আচ্ছা, আপনারা এতোকিছু বোঝেন আর এইটা বোঝেননা, তা কেমন করে হয়! মামতো-চাচতো ভাইয়ের সাথে একলগে প্রেম চালিয়ে যেতেতো কিছুটা রাখঢাক রেখেই তা করতে হবে, না-কি! না হলে যে মুখপোড়ার অপবাদ নিতে হবে! বেপারী ইউনুস নিশ্চয়ই তা চাইবেননা!
দেখুন, চিল্লাপাল্লা না করে সজাগ থাকুন যাতে আওয়ামী লীগের মতো কোনো ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের মধ্যে পড়ে যেতে নাহয়! বেপারী কিন্তু লাভ-ক্ষতির হিসেবে বড়োই ধুরন্ধর! চিল্লাপাল্লা করে মানুষকে অযথা বিরক্ত করবেন না। কারণ, বিষ কিন্তু জেনেশুনেই পান করেছেন! এখন চালে ভূল হলে চাঁদ না-হয়ে দড়ি-ই যে হবে, তা একরকম হলফ করেই বলা যায়।
লন্ডন, ২৮ জুন ২০২৫
লেখক: রাজনৈতিক এক্টিভিস্ট।