।। সিরাজুল ইসলাম।।
একটি বিদেশী শক্তির সামরিক সহায়তায় দেশ স্বাধীন হলে প্রথম যে দুশ্চিন্তা নেতৃত্বকে ঘিরে ফেলে সেটা হল কুইনাইনে রোগ সেরেছে কুইনাইন সারবে তো? প্রকৃত অর্থে কোন রাষ্ট্রই কোন রাষ্ট্রের বন্ধু নয়, সবই স্বার্থ, রাষ্ট্রীয় নীতি আর কুটনীতির খেলা। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় হয়েছে সত্য কিন্তু তখন যুদ্ধ প্রস্তুত ভারতীয় সৈন্যার বাংলাদেশেরই মাটিতে যাদের সামরিক দখলে পুরো দেশ। শেখ মুজিবের তখন প্রথম চিন্তা হাতে পাওয়া সার্বভৌমত্ব না হারানো।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হবার পর শেখ মুজিবকে পাকিস্তান থেকে লন্ডনে নেয়া হয়। ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে শেখ মুজিব ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছান। ভারত সরকার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। দিল্লিতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভারত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য তিনি ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দিল্লির রামলীলা ময়দানে এক বিশাল জনসভায় তিনি ভাষণ দেন, যেখানে তিনি ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উপর জোর দেন। পাকিস্তান থেকে লন্ডন হয়ে ভারত হয়ে ফেরার পথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা হলেই প্রথম প্রশ্ন তিনি করেছিলেন ভারতীয় সৈন্য কবে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। ইন্দিরা জবাব দেন আপনি যেদিন চাইবেন।
১৯৭২ সালের ১২ মার্চ ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রত্যাহার সম্পন্ন করার সময় ভারতীয় সৈন্যরা শেখ মুজিবুর রহমানকে বিদায়ী গার্ড অফ অনার প্রদান করে। এর পর ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরে আসেন।
কি ভয়ানক ও অসম্ভব একটি যুদ্ধের পর কি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন কুটনৈতিক ও সামরিক বোঝাপাড়া ও স্বাধীনতার সুরক্ষা। আর এখন গোপনে ভূয়া পাসপোর্টে পাকিস্তানি সেনারা, গোপনে মার্কিন সেনারা দেশে আসছে, করিডোরের নামে দেশ বিক্রি, অস্ত্রভর্তি জাহাজ, পরিচয় লুকানো বিমান, বিদেশিদের হাতে বন্দর, তুলে দেয়া, মানচিত্র বদল, দেশের এলাকা দেশের জনগনের জন্য নিষিদ্ধ করা এগুলো করছে তারাই যারা দেশের স্টেট ও ননস্টেটে অ্যক্টর যারা ৭১ এর বাংলাদেশ ও ভারত নিয়ে সবসময় দেশ বিক্রির মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে এসেছে।