২০২৪ সালের তথাকথিত “জুলাই বিপ্লব” আজ ইতিহাসের এক নোংরা প্রতারণার নাম। একটি অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ভান করে, রক্তাক্ত মঞ্চ সাজানো হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে যাকে বলা হচ্ছে ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’। এই ডিজাইন ছিল শয়তানি নির্মাণের নিখুঁত উদাহরণ।
গোলাগুলি, লাশ, বিক্ষোভ সবই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। নিজেরাই মিছিলে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে, সেই লাশকে “শহীদ” বানিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টির চেষ্টা ছিল রাজনৈতিক কৌশলের এক নিষ্ঠুর অধ্যায়। আরও ভয়ংকর হচ্ছে,জীবিত মানুষকে গুম করে “শহীদ” ঘোষণা করা হয়েছিল, যাতে আন্দোলনের আবেগ দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।
এক ভয়ংকর সত্য আজ উন্মোচিত হয়েছে বেশিরভাগ হত্যা করা হয়েছে ৭.৬২ মিমি রাইফেলের গুলিতে, যা বাংলাদেশ পুলিশের অস্ত্রভাণ্ডারে নেই। বরং এই অস্ত্র জঙ্গিদের ও বিশেষ প্রশিক্ষিত গোপন বাহিনীর হাতে ব্যবহৃত হয়। প্রথম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাই স্বীকার করেছেন, এই বুলেট পুলিশ ব্যবহার করে না। তাহলে কারা চালিয়েছে এই গুলি? কার পরিকল্পনায়?
এই তথাকথিত বিপ্লবের “মেটিকুলাস ডিজাইন” এখন পরিস্কার
জনগণের আন্দোলন নয়, বরং সন্ত্রাস ও প্রতারণার ওপর দাঁড় করানো এক নীলনকশা।
বিক্ষোভকে উত্তেজিত করতে নিজেরাই মৃত্যু ঘটিয়েছে। শহীদের গল্প সাজাতে জীবিত মানুষকে গুম করেছে।
গুলির উৎস গোপন রেখে দায় চাপিয়েছে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর।
এই সমস্ত কর্মযজ্ঞের প্রধান পরিচালক ছিলেন ড. ইউনুস ও তার দোসররা, যারা বিপ্লবের নামে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ সুগম করেছে।
এই অপরাধ শুধুই রাজনৈতিক নয়, এটি একটি ভয়ংকর ফৌজদারি অপরাধের চিত্র।
✔ পরিকল্পিত হত্যা
✔ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র
✔ বিভ্রান্তিকর প্রচার
✔ জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল
এসবের বিচার হবেই। বাংলাদেশের মাটিতে, আইনের কাঠগড়ায়, জনগণের আদালতে।
বিপ্লব নয় এটি ছিল রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
বাংলাদেশের মানুষ সত্য জানে, সত্য উচ্চারণ করছে। এবার সময়,এই প্রতারণার পূর্ণবিচার করার।