গোপালগঞ্জ এখন এক অঘোষিত যুদ্ধক্ষেত্র। নদীতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর টহল, রাস্তায় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছে পুরো এলাকা। মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ, সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আতঙ্কে ভীত সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠছে এত সামরিক শক্তি কার বিরুদ্ধে?
সরকার বলছে, এটি “নিরাপত্তা রক্ষার পদক্ষেপ।” কিন্তু নিরাপত্তার নামে জনগণের ওপরই যদি অস্ত্র তাক করা হয়, তবে তা রাষ্ট্র নয়, দখলদারিত্বের পূর্বাভাস।
বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি গোপালগঞ্জে আজ সেই সাধারণ মানুষদেরই গুম, আটক ও নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে, যারা একদিন স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে।
৩,০০০-এর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। অনেককে ২৪ ঘণ্টার পরও আদালতে তোলা হয়নি। পরিবার জানে না আপনজন কোথায়, কী অবস্থায় আছে।
সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশের দায়িত্ব দেশরক্ষা, জনগণের সেবা। কিন্তু গোপালগঞ্জে তারা জনগণকেই শত্রু মনে করছে। এই অবস্থান শুধু অন্যায় নয়, জাতির আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
গোপালগঞ্জ প্রতীক স্বাধীনতা, নেতৃত্ব ও গণতন্ত্রের। সেই প্রতীকে যদি সেনার বুট পড়ে, ট্যাংক ঘোরে, সংবাদ চাপা পড়ে তবে সেটি শুধুই একটি জেলার নয়, পুরো জাতির সংকেত।
রাষ্ট্র যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, ইতিহাস একদিন সেই রাষ্ট্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।