।। উপমা অধিকারী।।
মনে পড়ে, ময়মনসিংহ গীতিকা’র মহুয়া পালার সেই পালং সই এর কথা? অথবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিনোদিনী আর আশালতা যখন সই পাতিয়ে একে অপরের নাম দেয় চোখের বালি!
সইকে আদর করে ডাকা হয় হরেক রকম নামে। কখনো গোলাপ ফুল, বকুল ফুল, কখনো বা গঙ্গাজল, সাগরজল, তুলসী, মহাপ্রসাদ! একসময় গ্রামবাংলায় মিতা বা বন্ধু বানানোর একটা চল ছিলো। আশুতোষ ভট্টাচার্য সংগৃহীত লোকসঙ্গীতের ভাণ্ডারে তেমনই পাওয়া যায় একটি ‘সহেলা’ বা ‘সই পাতানোর গান’। সেখানে দেখা যায়, কমলা নামের একটি মেয়ে, সম্ভবত মনসা দেবী, সই পাতাবে বলে বেরিয়েছে। সঙ্গে ডালা ভরে চিঁড়ে-গুড়-কলা-চিনি নিয়েছে আর নিয়েছে বাটাভরা পান-সুপারি, সাজি ভরা ফুল আর দূর্বা:
‘চলিলা কমলা গো-সহেলা পাতিবারে ।
চিড়া-গুড় লৈল কমলা, ডাইলারে ভরিয়া।।
কলা চিনি লৈল কমলা, ডাইলারে ভরিয়া।
পান শুবারী লৈল কমলা, বাটারে ভরিয়া।।
পুষ্প দূর্বা লৈল কমলা, সাজিরে ভরিয়া।’
বর্ণভেদ ও জাতিভেদ প্রথাকে অস্বীকার করে বাংলার লৌকিক দেবতাদের গ্রামীণ মেলায় একসময় চল ছিলো সই পাতানো, ছেলেদের মধ্যে সাঙ্গাত পাতানো এবং বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে অল্পবয়সীদের ধরম কুটুম পাতানো। সাধারণত চণ্ডী, ধর্মরাজ প্রভৃতি কোনো লোকদেবতার মেলায় দু’পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে এই সম্পর্কগুলো তৈরি হতো। যেমন, এর মাঝে অন্যতম হলো ‘ক্ষুদ মা’ পাতানো। পাঁচ পোয়া ‘ক্ষুদ’ অর্থাৎ ভাঙা চাল নিয়ে একজন নিম্নবর্ণের মহিলা উচ্চ বর্ণের ছেলেকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করতো। তারপর থেকে মহিলাটি ওই ছেলেটির ক্ষুদ মা বলে সমাজে পরিচিত হতো।
এভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সই পাতানো বা ধর্ম কুটুম পাতানোর রীতি এই বাংলায় বহু প্রাচীন। বিশেষ করে রাজবংশী সমাজে এরকম সই পাতানোর আয়োজন দেখতে পাওয়া যায় মিতর ধরা, পানিছিটা, ভাদাভাদি ও সখাহালা অনুষ্ঠানে। এছাড়াও মনসা পূজাকে ঘিরে কোথাও বা বসে সখীর মেলা! এছাড়াও শুধু মানুষের সাথে নয়, আছে জিগা গাছের সঙ্গে সই পাতানোর পূজা। চলুন, আজকে এই সই পাতানোর রীতিগুলো নিয়েই একটু জানা যাক!
মিতর ধরা ও পানি ছিটা-
ভারতের কোচবিহারের দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা, মেখলীগঞ্জ ও হলদিবাড়ি অঞ্চলের রাজবংশী সমাজে প্রচলিত রয়েছে মিতর ধরা প্রথা। মূলত বিয়ের সময় পাত্রীকে সম্প্রদান করার পর পাত্রের বন্ধু স্থানীয় কাউকে পাত্রের ‘মিতর’ বা ‘মিত্র’ বানিয়ে আত্মীয়তা তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে পাত্র এবং তার মিতর দুজনে একটা আমের পল্লবে সাজানো কলসি ধরে থাকেন এবং পুরোহিত তখন মন্ত্র পড়েন। এভাবেই বিয়ের দিন কনেকে বিয়ে করার পাশাপাশি পাত্র তার বন্ধুর সাথেও মিতালী পাতান। রীতি অনুযায়ী,পাত্রের মিতর নতুন বউকে প্রথম উপহার দেবে। মিতরকে পরম আত্মীয় বলে গণ্য করা হয়, তাই দুজন মিতর পরিবারের ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম বা বিয়ে জাতীয় কোনো সম্পর্ক তৈরি হয় না। শুধু তাই নয়, এক পরিবারের কেউ মারা গেলে, আরেক পরিবার অশৌচ অবধি পালন করে। মিতর বানানোর সময় ধনী, গরিব বা সম্প্রদায়গত কোন বিভেদ থাকে না। এমনকি অনেক পরিবারে হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীর মধ্যেও সখীত্বের বন্ধন সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, ‘যার সাথে মজে মন সেই তার আপন জন’!
মিতর প্রথার সঙ্গে পূর্ববাংলার কোলজামাই এবং পশ্চিমবাংলার মিতবর প্রথার মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও মিতর ধরা অনুষ্ঠানের ঠিক পরেই আরেকটা প্রথা রাজবংশী সমাজের বিয়েতে দেখা যায়- সেটা হল পানিছিঁটা। এ প্রথায়, আত্মীয় অথবা পরিচিত অনাত্মীয় কোনো বয়স্ক মানুষ বিয়ের দিন বর ও কনের মাথায় জল ছিটান। জল ছিটানোর পর নব দম্পতি সেই বয়স্ক পুরুষ বা মহিলাকে বাবা কিংবা মা সম্বোধন করে ডাকেন।
ভাদাভাদি –
মিতর ধরা ও পানিছিটার মতোই আরেকটা অনুষ্ঠান রাজবংশী সমাজে প্রচলিত আছে। তবে এই লৌকিক অনুষ্ঠানটি কেবলমাত্র দুজন মেয়ের মধ্যে সই পাতানোর জন্য আয়োজিত হয়। স্থানীয় ভাষায় এই অনুষ্ঠানটির নাম ভাদাভাদি। ভারতের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়, চৈত্রমাসে, উত্তর বা পূর্বদিকের ঘরে স্থানশ্রী ঠাকুরাণী বা থানছিরির বেদীর সামনে মাটি খুড়ে, সেখানে পর্যাপ্ত জল দিয়ে, বারো রকম শস্যবীজ বোনা হয়। বীজগুলো কিছুটা বেড়ে উঠলে, একমাসের মধ্যে শুভ দিন দেখে ভাদাভাদি অনুষ্ঠান পালিত হয়। এখানে যে দু-জন মেয়ের মধ্যে মিতালি হবে, তাদের কোনো একজনের বাসায় ধর্মঠাকুরকে সাক্ষী রেখে কিছু আচার পালন করা হয়। এক মেয়ের পরিবার, আরেক মেয়ের বাসায় নতুন কাপড় জামা, দই, দুধ, কলা, মিষ্টি, চিনি এসব নিয়ে আসে। এরপর মেয়ে দুজন সারাদিন উপোস থেকে বিকালে ভাদাভাদি পূজায় বসে। পূজার সময় পুরোহিত একজনের হাতে তীর ধনুক এঁকে দেন। মেয়েটি সেই তীর ধনুকটি তার সখির হাতে বসিয়ে দেয়।পূজা শেষে দুজন দিঘিতে নামে। সেখানে তাদের হাতে পান আর গোটা সুপুরি দেওয়া হয়। তখন মেয়েরা দিঘিতে তিনবার ডুব দেয় তারপর দুজন দুজনকে সেই পান সুপুরি খাইয়ে দেয়। এভাবেই ভাদাভাদির মাধ্যমে দুইজন হয়ে পরে নিজেদের প্রাণের সখী।
সখাহালা-
কোচবিহারের রাজবংশী সমাজে আরেকটা বন্ধু পাতানোর প্রথা হলো সখাহালা। সখাহালা প্রথা মিতর ধরার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। এখানে একজন ছেলের পরিবার থেকে তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে ঘটকের মতো, যে ছেলেটার সঙ্গে সখা পাতানো হবে, তার বাসায় পাঠানো হয় সখাহালার প্রস্তাব দিয়ে। দুই পরিবার রাজি হলে, এক বাড়ির ছেলে দই, কলা, মিষ্টি নিয়ে শুভ দিন দেখে আরেকজন ছেলের বাসায় আসে। তখন নবাগত যুবককে সাদরে আমন্ত্রণ করে বাড়িতে এনে পূজার আসনে বসানো হয়। এরপর গৃহদেবতাদের পূজা দিয়ে পুরোহিত দেবদেবীর নিকট অর্ঘ্য সহ নতুন আত্মীয়তার দীর্ঘায়ু কামনা করে প্রার্থনা করেন। পূজা শেষে নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ এই যুবকগণ তাদের উভয়ের পিতামাতাদের সেদিন থেকেই তাহই ও মাহই বলে সম্বোধন করেন।
কোচবিহারের রাজবংশীরা অনেকসময় মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গেও সখী বা সই পাতানো অনুষ্ঠান করে থাকেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের প্রাধান্য থাকে না। শুধুমাত্র বাড়ীর উঠোনে দাঁড়িয়ে পরস্পর পরস্পরকে সখা বলে সম্বোধনের মাধ্যমে আলিঙ্গন করত। এখানে অবশ্য অভিভাবকদের পক্ষ থেকে উভয়কে উপহার দিয়ে আশীর্বাদ করার প্রথা আছে। এই ধরনের অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য এই যে ধর্মীয় অনুশাসনে দুটি পরিবারের মধ্যে ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও তা তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
সখীর মেলা ও সয়লা-
ভারতের কোচবিহারের দিনহাটার নগরভাঙনি গ্রামে যে শিব, অন্নপূর্ণা, শীতলা, মাসান, দেবীদেবীর মন্দির প্রাঙ্গণে, প্রত্যেক চৈত্রমাসে, সখীর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলায় প্রচুর ভক্ত উপস্থিত হয়, নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তা তৈরির জন্য। মেলায় পুরুষ মহিলা উভয় অংশগ্রহণ করতে পারে। যারা দু-জন বন্ধুত্ব করবে, তারা পান সুপারি হাতে নিয়ে মন্দিরের দেবদেবীর থানে পূজা দিয়ে, মন্দির প্রাঙ্গণ লাগোয়া পুকুরে দু-জন হাত ধরাধরি করে ডুব দেয় এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে দু-জন দু-জনকে ফল, মিষ্টি, সুপারি খাইয়ে দেয়। এইভাবে কোনো পুরোহিত বা মন্ত্র ছাড়াই, সই পাতানো হয় সখীর মেলায়।
নগরভাঙনির এই সখীর মেলার সঙ্গে বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার ‘সয়লা’ বা ‘সহেলা’ উৎসবের অনেকাংশে মিল পাওয়া যায়। মূলত মনসা দেবীকে ঘিরে তৈরি একটা জনশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে, প্রতিবছর মনসাপুজার সময়, অনুষ্ঠিত হয় এই সয়লা মেলা। সয়লা বা সহেলা মেলা বন্ধুত্বের মেলা। সংস্কৃত শব্দ ‘সখীকারিকা’ থেকে হিন্দিতে সহেলী বা বন্ধু, এবং স্থানীয় ভাষায় সয়লা শব্দের উৎপত্তি। কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গলে দেখা যায় , কমলা নামের এক এয়োর সঙ্গে সই পাতাবেন বলে দেবী মনসা চলছেন ব্রাহ্মণীর বেশ ধরে। তিনি পাটের শাড়ি পরেছেন, সিঁথায় সিঁদুর দিয়ে ভারির কাঁধে আখন্ড কলার কাঁদি চাপিয়ে সঙ্গে নিয়েছেন হলুদ, আমলা, সুগন্ধী, পাথি ভরা খই, তার ওপরে দই সাজিয়ে পান সুপুরি আর সোনার কৌটোয় সিঁদুরও নিয়েছেন। শঙ্খিনী নগরে পৌঁছে কমলার কাছে গিয়ে তাকে সই পাতানোর কথা বলতেই,
‘কমলা হরিষ হয়্যা নিজ পরিজন লয়্যা,
সয়লা করিল দুইজনে।
হেটে খই উভে দই প্রাণপ্রিয় তুমি সই,
ইহ বলি দিল আলিঙ্গনে।।
ঘন ঘন হুলাহুলি সই সই কোলাকুলি,
দুই সই বদলিল মালা।’
এছাড়াও এই সয়লা মেলা বসে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডকোষ ব্লকের বেরুগ্রামে, দক্ষিণ বর্ধমানের গোপালপুর,বাজিদপুর, চন্ডিপুর, মণ্ডলগ্রামে এবং বাঁকুড়ার ইন্দাসে। সয়লার ডালিকে স্থানীয় ভাষায় ‘গোয়া’ বলে। স্থানীয় দেবদেবীর মন্দিরে এই সয়লার ডালি দিয়ে পূজার মাধ্যমে দেবদেবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় পান, সুপারি আর গোটা হলুদ দিয়ে। এই প্রথাকে ‘গোয়া চালানো’ বলে। এই ডালির মধ্যে থাকে দই, গোটা হলুদ, পাঁচরকম শস্য, সিঁদুর, খইয়ের চড়া, পান, বাতাসা, সুপারি ইত্যাদি। কার্তিক মাসে মা মনসাকে সাক্ষী রেখে, সয়লার এই ডালি মাথায় ঠেকিয়ে, সিঁদুর হলুদ আর দইয়ের টিপ কপালে দিয়ে মঙ্গলকামনা করে, দু-জন বন্ধু দু-জনকে শোলার মালা পড়িয়ে বন্ধুত্ব স্থাপন করা হয়। এসময় মিতার দিকে তাকিয়ে বলতে হয়,
‘’ওপরে খই, নীচে দই, আমি তোর জন্মের সই’।
এরপর চলে মিষ্টিমুখ। যারা সয়লা মেলার মাধ্যমে আগে বন্ধু হয়েছিল, তারা একজন আরেকজনের বাসায় এই গোয়া বা সয়লার ডালি পাঠায়।
জিগা গাছের সাথে সই পাতানো –
শুধুমাত্র মানুষে মানুষে সই পাতানো নয়, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় রাজবংশী সমাজে, মানুষের সঙ্গে গাছের সই পাতানোর প্রথাও দেখা যায়।
কথিত আছে, জিগা গাছের নাকি মৃত্যু নেই। তাই জিগা গাছের সাথে সই পাতান অনেক রাজবংশী নারী। বলা হয়ে থাকে, জিগা গাছের সঙ্গে সই পাতালে, বন্ধ্যা কিংবা মৃতবৎসা রমণীর সন্তান হবে। অনুষ্ঠানের দিন সকাল সকাল উঠে স্নান সেড়ে, বাড়ির বউ কলাপাতা কেটে নিয়ে আসে। এরপর একটু বেলা বাড়লে, আশেপাশের সধবা মহিলাদের সঙ্গে করে দুধ, কলা, বাতাসা ও নানারকম ফলমূল নিয়ে বাড়ির বউ জিগা গাছের কাছে যায়। জিগা গাছটাকে একজন সধবা নারী হিসেবে কল্পনা করে নিয়ে, যত্ন করে গাছটাকে শাড়ি, সিঁদুরের টিপ আর দু-পাশের ডালে শাঁখা পরায়। তারপর গাছের মূলে দুধ, দই, কলা, চিনি, মুড়কি, খই ইত্যাদি রেখে, নারকেলসহ ঘট বসিয়ে পূজা করা হয়। পূজা হয়ে গেলে বাড়ির বউ গাছটার সামনে বসে বলে- ‘সই জিগা, তুই তো অমর। মোর ছাওয়া জন্মের পর মরি যায়। সই তুই আশুর্বাদ কর মোর ছাওয়া য্যান যুগ যুগ বাঁচি থাকে।’
জিগা গাছ যেহেতু কথা বলতে পারে না সেহেতু জিগা গাছের প্রতিনিধিত্ব করে আরেকজন নারী। তিনি উত্তরে বলেন, – ‘সইত্য, সইত্য, তিন সইত্য। আজি হাতে তুই মোর সই হল। আর তোর ছাওয়া জন্মিয়া কুনো দিন মরিবার না হয়, মুই আশুর্ব্বাদ করিনু।’
এই বলে দু-জন দু-জনকে প্রণাম করে। পূজার পর জিগা গাছ হয়ে যায় নারীর প্রাণের সই। নারীর দুঃখ শুনবার, অবসরে গল্প করবার সই। গাছটিকে দেখভাল করে রাখার দায়িত্ব এখন থেকে তার সইয়ের। গাছটা ঝড়ে পড়ে গেলো কিনা কিংবা শাড়িটা পচে গেল নাকি বা শাখাটা ভেঙে গেলো নাকি এসবকিছু দেখে রাখবে সে। বাড়িতে পূজা-আর্চা কিছু হলে কলাপাতায় প্রসাদ মুড়ে নিয়ে গিয়ে, এই জিগা গাছটার ডালে এনে বেঁধে দিবে। কারণ সই পাতানোর সময় তো তারা প্রতিজ্ঞা করেছে, আজ থেকে তারা প্রাণের সই, দুজন দুজনকে আগলে রাখবে যত্নে।
লেখক: ফকলোর গবেষক। সৌজন্যে ফকলোর এক্সপিডিশন বাংলা