।। আজিজুল পারভেজ।।
জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ না করলেই নয়? শিশুদের হাসপাতালে রেখে অভিযোগ করা যায় না, কিন্তু না বলেও পারছিনা কারণ এটা প্রশিক্ষন বিমান ছিলো। প্রশিক্ষনার্থীর হাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তো থাকেই। তাহলে কেন দেশের সবচেয়ে ঘনবসতির ঢাকায় এই বিমানপ্রশিক্ষনের অনুমতি থাকে? তাও আবার প্রথম একক ফ্লাইটের অনুমতিও থাকলো ঢাকাতেই? দেশে আর কোন জায়গা নেই, যেখানে লোকজন বাস করেন না। নদী বা খোলা মাঠ আছে শুধু।
সরকার ও বিমানবাহিনীর কাছে খুব সাধারণ এই প্রশ্ন থাকলো?
দুর্ঘটনা বলে সব কিছুই কি চালিয়ে দেয়া যায়? এই দুর্ঘটনাটিই যদি কোন নদী বা খোলা মাঠের মধ্যে ঘটতো তবুও আজ দেশের মানুষ শোক জানাতেন কিন্তু তা একজন প্রশিক্ষনার্থী পাইলটের জন্য। কিন্তু আজ উনিশ জন পাইলট, সেনা কর্মকর্তা, ডাক্তার বিজ্ঞানী নাকি লেখক বা শিল্পীকে হারিয়েছি আমরা জানিনা। আহা আগুনে এক একটা স্বপ্নের মৃত্যু হলো। অনেক স্বপ্নেরা এখনও হাসপতালে।
দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তের জন্য এমন হলে এখনই সিদ্ধান্ত বদলান। লোকালয়ে প্রশিক্ষন বিমানের ওড়া এটিই শেষ বারের মতো হোক। রাস্ট্রীয় শোক পালনে হয়তো আনুষ্ঠানিতা আছে কিন্তু এতে আরেকটি এমন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় না।
লেখক: সাংবাদিক।