দেশে চাহিদার তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা অনেক বেশি। ঢাকা, যশোর, বগুড়া, কুমিল্লা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার টন সবজি উৎপাদিত হয়।
এই সবজিগুলোর অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায় ঠিকভাবে বাজারে না পৌঁছানোর কারণে। অনেকসময় কৃষক নায্য দামও পায়না। কিন্তু যদি রপ্তানি করা যায়.??
লাউ, পটল, বরবটি, কাঁচা মরিচ, ধুন্দুল, কাঁচা কলা, পুঁইশাক, লেবু, কচুপাতা এই সবজিগুলোর দাম অনেক বেশি পাওয়া যায় বিদেশে।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, মালয়েশিয়া, ও সিঙ্গাপুরে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই সবজির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।
সবজির GAP (Good Agricultural Practice) মেইনটেইন করলে, অর্থাৎ সবজিতে নিয়মমাফিক রাসায়নিক সার ব্যবহার করে প্রস্তুত করলেই এগুলো রপ্তানি উপযোগী হয়ে দাড়ায়। তবে সমস্যা হয় বায়ার খুঁজতে! যদি আপনার কাছে সবজি থাকে আর বায়ার না থাকে, তাহলে ব্যবসা থেমে যাবে।
সমাধান কী?
১. প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির ফেসবুক গ্রুপ
২. বাংলাদেশি দোকানদার যারা বিদেশে দোকান চালান
৩. ফ্রেশ ফুড ইম্পোর্টার কোম্পানি, এদের সাথে ইমেইল আর প্রফেশনাল প্রেজেন্টেশন
৪. বাংলাদেশি এক্সপোর্টারদের সাথে পার্টনারশিপ করে শুরু
শুরুতে সপ্তাহে ৫০-১০০ কেজি দিয়েই শুরু করা যায়।
GAP (Good Agricultural Practice) অনুযায়ী গ্রেডিং, প্যাকিং হলে, এই ছোট প্যাকও ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে।
আজ যেটা মনে হচ্ছে “শুধু লাউ” সেটাই একদিন আপনার মাসে লাখ টাকার রপ্তানি পণ্য হতে পারে।
দেশি সবজি, গ্লোবাল চাহিদা
আপনার উদ্যোগেই তৈরি হবে ভবিষ্যৎ..!! শুরুটা আজ হোক, ছোট হোকরেজাল্টটা হবে অনেক বড়।