২১ জুলাইয়ের মাইলস্টোন ট্রাজেডি ছিল না শুধু একটি দুর্ঘটনা এটি ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার চূড়ান্ত ব্যর্থতার নগ্ন প্রকাশ। একটি যুদ্ধবিমান শিশুদের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে শতাধিক প্রাণহানি ঘটালেও ইউনুস সরকারের কারো মুখে দুঃখ নেই, কারো মুখে দায়িত্বের ভাষা নেই। যেন মৃত্যু আর লাশ আজ এই সরকারের কাছে শুধুই সংখ্যা।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নেই, শিক্ষা উপদেষ্টা মুখ বন্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উধাও আর আইনের উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনের বদলে ফেসবুকে ছড়া-কবিতা লিখছেন। পুরো সরকার যেন এনজিও-কেন্দ্রিক ‘ব্রতী’ ভাবনায় বন্দি, যেখানে জনগণের জীবন নয়, বিদেশি দাতার খুশিই মুখ্য।
এই সরকার রাষ্ট্রের আদলে গড়া নয়, বরং বিদেশি প্রভুদের চাহিদা পূরণে গঠিত একটি ছায়া-প্রশাসন। তাদের কাছে যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দায়ও ‘কোনো বাহিনীর নয়’, যেন আকাশ থেকেই দায়মুক্তির লাইসেন্স পাওয়া গেছে।
মাইলস্টোনে নিহত শিশুদের আত্মা প্রশ্ন করছে: আমাদের হত্যার বিচার কে করবে? দায় এড়ানো যাবে না। এই লাশগুলো গোটা জাতিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা এক বস্ত্রহীন, অস্ত্রহীন, দায়িত্বহীন সরকারের শাসনে বন্দি।
এখন সময় এই ব্যর্থতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। ইউনুসের এনজিও রাষ্ট্র নয়, আমরা চাই জনগণের জন্য গঠিত প্রকৃত সরকার।