হারারেতে প্রোটিয়াদের ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেখান থেকে পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন সামিউন বশির রাতুল। শেষ ব্যাটসম্যান স্বাধীন ইসলামকে একটি বলও খেলার সুযোগ না দিয়ে দারুণ মুনশিয়ানায় দলকে জিতিয়ে আনেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ১২৮ রান ২৮.৪ ওভারে ৯ উইকেটে টপকে যান তারা। ১ উইকেটের নাটকীয় জয়ে জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় যুব ওয়ানডে সিরিজে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ।
সামিউন যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। কিছুক্ষণের মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটও হারায় তারা। তবে সপ্তম উইকেটে আল ফাহাদকে নিয়ে ৩১ রান যোগ করেন সামিউন। ফাহাদ ১১ রান করে আউট হওয়ার পরের ওভারে দেবাশীষ দেবাও ক্যাচ দিয়ে বসেন। এরপর নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইকবাল যখন ক্যাচ দেন, তখন বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ১০৯।
এভাবে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখে নিজের করণীয় ঠিক করে ফেলেন সামিউন। দুটি চার মেরে ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখেন। পরের ওভারে চার-ছয় মেরে স্কোর সমান করেন তিনি। পরের বলটি কাভারে ঠেলে দিয়েই মাতেন জয়োল্লাসে। ৩৯ বলে ৭টি চার ও ১টি ছয়ে ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন সামিউন।
এর আগে টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৮ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। পেসার আল ফাহাদ ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। এছাড়া সামিউন ও স্বাধীন ২টি করে উইকেট নেন। এ সিরিজের অন্য দল স্বাগতিক জিম্বাবুই।