বাংলাদেশ নিয়ে আজ একটু আগে Daily Ajker Kantho সংবাদে প্রকাশিত খবরটি নানা কারণে সত্য মনে হয়েছে। আসুন লেখাটি পড়ি।
উপদেষ্টা মাহফুজের সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন সিডনিতে, ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ! ~নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা
বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত তার আপন বড় ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টে সম্প্রতি সাড়ে ছয় কোটি টাকার একটি সন্দেহজনক লেনদেন দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অস্বাভাবিক এই আর্থিক কার্যকলাপের দায়ে তার ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টটি ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মাহফুজের বড় ভাই উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে পার্টটাইম ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার নামে থাকা কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়া-র একাউন্টে গত নয় মাস ধরেই বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের অর্থ জমা হচ্ছিল।
মূল ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত ২৪শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে। এদিন মধ্যপ্রাচ্যের একটি উৎস থেকে তার একাউন্টে একবারে সাড়ে ছয় কোটি টাকা জমা হয়। এই বিপুল পরিমাণ লেনদেনটি অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা AUSTRAC (Australian Transaction Reports and Analysis Centre)-এর রাডারে ধরা পড়ে। একজন সাধারণ ছাত্র এবং পার্টটাইম ট্যাক্সিচালকের একাউন্টে এত বড় লেনদেন তাদের কাছে অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে হয়।
প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ উঠেছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মূলত জন্মভূমির একটি প্রভাবশালী বেনিয়া গোষ্ঠীর একটি বড় প্রকল্পের “কমিশনভিত্তিক হিস্যা”। অভিযোগ রয়েছে, মাহফুজ দেশে বিভিন্ন ফাইলের তদবির ও লবিংয়ের কাজ করেন এবং সেই কাজের পারিশ্রমিক বা কমিশন হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ অস্ট্রেলিয়া বাড়িতে তার ছাত্র ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। দেশের অভ্যন্তরে আর্থিক নজরদারি এড়াতে এবং অর্থের উৎস গোপন রাখতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
AUSTRAC এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী, আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এ ধরনের বড় লেনদেন অর্থ পাচার (Money Laundering) বা সন্ত্রাসী অর্থায়নের সন্দেহের তালিকায় পড়ে। সংস্থাটি মাহফুজের ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টটি জব্দ করার পাশাপাশি এই অর্থের মূল উৎস, প্রেরক এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে গভীর অনুসন্ধান শুরু করেছে।
এই ঘটনা প্রকাশের পর দেশে এবং বিদেশে মাহফুজের কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে এই অর্থের মূল উৎস এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী গোষ্ঠীর পরিচয় বেরিয়ে এলে বিষয়টি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা আর কোথাও দেখিনি, বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশে এমন সংবাদগুলো প্রকাশ করতে দেন না, নিজেদের অপরাধ ঢেকে রাখতে, এটাই বড় কারণ মনে করি। তবে এমন শত শত ঘটনার কথা যেমন শুনেছি, তেমনি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্য সহ এমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে এর চেয়ে বড় বড় অংকের অর্থ চালান এর কথা জানি। এবং সে সব অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে চলছে এসব দেশে। একটা বিষয় স্পষ্ট এসব অবৈধ অর্থের সাথে সাথে সন্ত্রাসীদের গোপন চক্র নিজ নিজ স্বার্থ আদায় করে নেয়। এ বিষয়টির প্রতি আমি অস্ট্রেলিয়া সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য সকল মন্ত্রীবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ সবাইকে বলছি; আমরা চাই না সন্ত্রাসী বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্য কোন দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এভাবে অবৈধ অর্থের চালান আসুক। অস্ট্রেলিয়া শিক্ষা ও সংস্কৃতি সহ, বহু ভাষা ও বহু সংস্কৃতির কারণে বিশ্বের সেরা একটি দেশ।
প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই গত ৩২ বছর ধরে আমি অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন অঙ্গনে নিজের সীমাবদ্ধ শক্তি ও সামর্থ্যে নিরলস কাজ করে চলেছি, একটি বারের জন্যও কোন দুর্নীতি বা অনৈতিক কাজে অংশ গ্রহণ করিনি। অস্ট্রেলিয়া সরকারকে বলবো; বাংলাদেশ বিষয়ে ড. ইউনুস সরকারের কার্যক্রম পর্যালোচনা করলেই দেখা যাবে বাংলাদেশে প্রতিদিন সাধারণ জনগণকে হত্যা করছে, নারী ও শিশু ধর্ষণ ও হত্যা করছে, এর নেপথ্যে এসব উপদেষ্টাদের নিয়ন্ত্রিত মব বাহিনী। পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের সুরক্ষা করছে। এদেরই ছত্রছায়ায় মবরা হিন্দু পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, তাদের জমি, বাড়িঘর কেড়ে নিচ্ছে, এবং এসব সম্পত্তির বিনিময়ে উপদেষ্টা মাহফুজের মত কুচক্রীরা বিদেশে থাকা তাদের ভাই, বোন, মা বাবা বা পরিবারের মানুষের হাত শক্তিশালী করছে অবৈধ অর্থে। একটি সুস্থ আইন পারে তাদের সে হাতকে দমিয়ে দিতে।
একই সাথে সিডনির সকল বঙ্গবন্ধু প্রেমী, আওয়ামী লীগ এর সকল অঙ্গ সংগঠনের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ, এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করুন। আপনাদের অধিকারের কথা সরকারকে লিখে জানান, নিশ্চয়ই উপদেষ্টা মাহফুজের মত মানুষের টনক নড়বে। আপনার নিরবতা ভাঙ্গুন, আপনার নীরবতাই হয়তো একদিন আপনার সন্তানের, আপনার পরিবারের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এবং দয়া করে সমাজে সম্প্রীতির নামে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের কালো হাত আর শক্ত করবেন না, মৌলবাদী থেকে সাবধান থাকুন। দয়া করে আর নীরব থাকবেন না। এ বিষয়ে বিশ্বের জ্ঞানীদের বক্তব্য বড় পরিষ্কার; ❝অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।❞
আকাশ আনোয়ার | অস্ট্রেলিয়া