বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত হয়ে গণভবনে ‘গণ-কবরস্থান’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ তাদের এই অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এই অবৈধ দখলদার গোষ্ঠীর কাছে হয়তো বোধগম্য নয় যে, গণভবন শেখ হাসিনার বাড়ি নয়। এটা দেশের সরকার প্রধানের সরকারি বাসভবন। যার সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনের নকশার সঙ্গতি রয়েছে। বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান সংসদ ভবন ও এর আশেপাশের আআনুষঙ্গিক ভবনগুলো নির্মাণ করেন। এটা বিশ্বের নিখুঁত স্থাপত্যের মধ্যে অন্যতম একটি। এর স্থাপত্যশৈলী দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটায়। এর কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটানোর অর্থ হলো দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটানোর অপচেষ্টা করা। সুতরাং আমরা জাতীয় সংসদ ভবন, গণভবন ও তার সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুর মৌলিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা কোনো শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাসভবন নয়, এটা দেশের সরকার প্রধানের সরকারি বাসভবন। ঠিক যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হচ্ছে হোয়াইট হাউজ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হচ্ছে ১০ ডাউনিং স্টিট। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বিদ্বেষ থেকে গণভবনের স্থাপত্যশৈলীর গুরুত্ব না দিয়ে সেখানে নতুন কাঠামো নির্মাণ সম্পূর্ণভাবে নিন্দনীয়। এছাড়াও গণভবনের চারপাশে গাছপালা ও সবুজ আবহের একটা পরিবেশগত গুরুত্ব রয়েছে। এসব বিবেচনায় না নিয়ে শুধু ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা থেকে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং এটা করছে।
কিছুদিন আগে মাইলস্টোন দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থাপনা সামাল দিতে না পেরে খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জনগণের কাছে সাহায্য ভিক্ষা করেছে। অথচ এখন অযথা ও বেহিসাবিভাবে জনগণের করের টাকা খরচ করে এহেন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড করছে। এই খুনি-জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর চেয়ে নিজেদের ঘৃণা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব বেশি। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ও উদ্দেশপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। তারিখ: ২৮ জুলাই ২০২৫