ছেলেটার নাম হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান। ১৬ বছর বয়সে স্কুল থেকে ঝরে পড়েন। ১৭ বছরে ৪ বার চাকরি হারান। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন, ১৯-তে বাবা হন, আর ২০ বছরে স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে যান। জীবন থেমে থাকেনি — তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, ব্যর্থ হন।ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, রেললাইনের কন্ডাকটর— প্রতিটা জায়গাতেই ব্যর্থতা।
এক সময় তিনি চাকরি নেন একটি ছোট ক্যাফের রাধুনি হিসেবে। এভাবে চলে জায় … বয়স ৬৫। এবার অবসরে সরকারি ভাতা মাত্র ১০৫ ডলার। তিনি ভেঙে পড়লেন। চিন্তা করলেন — “এই জীবন রেখে আর কী হবে?”নিজেকে শেষ করতে চাইলেন।তখন… গাছের নিচে বসে লিখে ফেললেন, “জীবনে আমি কী কী করতে পেরেছি?”
মনে পড়ে গেল — তিনি একটাই জিনিস খুব ভালো পারেন — রান্না করতে!
চিন্তাভাবনা করে শেষ বারের মত ৮৭ ডলার ধার নেন, মুরগি কেনেন,
নিজের বিশেষ রেসিপিতে ফ্রাই করেন।Kentucky-তে প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেই চিকেন বিক্রি শুরু করেন। সেখান থেকেই জন্ম নেয় —
🍗 Kentucky Fried Chicken (KFC)! যে মানুষটি ৬৫ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন, সে মানুষই ৮৮ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে ছিলেন কোটিপতিদের কাতারে! আর আজ তিনি আমাদের কাছে পরিচিত — 🎖️ Colonel Sanders হিসেবে! 🔥 এই গল্প থেকে আমরা কী শিখি? ✅ ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং নতুন শুরুর ইঙ্গিত। ✅ কখনো বয়সকে বাধা মনে কোরো না — শুরু করার জন্য কখনোই দেরি হয় না। ✅ জীবনের ছোট্ট দক্ষতাও বড় সুযোগে পরিণত হতে পারে, যদি তুমি সেটাকে ভালোবাসো ও বিশ্বাস করো। ✅ হার মানা নয়, চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই জীবনের আসল গল্প। 🎯 আপনার বয়স যা-ই হোক, আপনি আজও শুরু করতে পারেন। হতাশ হবেন না… আপনি নিজেই একদিন অন্যের প্রেরণার উৎস হবেন।