বিশ্বের ২৩টি দেশের ৬৭৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এক জোরালো যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা এই রায়কে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও বিচারিক প্রহসনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের এমন রায় দেওয়ার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
একইসঙ্গে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে ৫১ জন নিহত ও প্রায় ৩৯১ জন আহত হন বলে দাবি করা হয়।
প্রবাসীরা অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল একটি ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিত গণহত্যা। সেনা ও পেটোয়া বাহিনী নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এবং অনেক মরদেহ গুম করা হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দ্রুত দাফন করার প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি এবং বাংলাদেশের সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলনের আড়ালে ষড়যন্ত্র করে একটি জঙ্গিপন্থী কিংস পার্টিকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে, যারা দেশব্যাপী দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘ফরমায়েশি রায়’ দেওয়া হয়েছে এবং শত শত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—এই অবৈধ রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, গোপালগঞ্জের গণহত্যার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং মৌলবাদী ও জঙ্গিপন্থী গোষ্ঠীগুলোর রাজনৈতিক সহায়তা বন্ধ করতে।
বিবৃতির শেষে তারা উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো আপস নয়। তারা দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।