২০১১ সালে যখন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছিলো, তখন ডেভিড বার্গম্যান ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউএজ’র সম্পাদকীয় পাতায় ‘ এ ক্রুশিয়াল পিরিয়ড ফর আইসিটি ‘ শিরোনামে লিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন ।আজকে ১৪ বছর পর সেই ডেভিড বার্গম্যান আবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োগ করা শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের জন্য একই আইনজীবী দেখে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।এক আইনজীবী, দুই মক্কেল! এমন হাস্যকর ট্রাইব্যুনাল ওরফে টমেটো ট্রায়াল করে শেখ হাসিনা ও আসাদুজামানের বিচার করা যে হাস্যকর তা রাজাকারের আইনজীবী ডেভিড বার্গম্যান পর্যন্ত বুঝেন।
আজকের কালের কণ্ঠের নিউজ হচ্ছে, ” জীবিত জিহাদকে মৃত দেখিয়ে হ/ত্যা মামলা, জেল খাটছেন অনেকেই। এমনভাবে পুরো বিচার ব্যবস্থাকে হাস্যকর বানিয়ে ফেলেছে গদি দখলকারী আমেরিকার পুতুল সরকার। এমন হাস্যকর আদালতে কোন বুঝে শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন?
ছাত্রশিবিরের হুমকি, জিন্দা অলীর অভিনয়, মেরুদণ্ডহীন বিএনপির অপরাজনীতি সব মিলিয়ে দেশ এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল পার করছে। সেনাবাহিনীর মত একটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে ইউনূসের গোলাম।এনসিপির গোলাম বানিয়ে তাদের সমগ্র বাংলাদেশে কুকুরের মত দড়ি বেঁধে ঘুরানো হচ্ছে। চাঁদাবাজির রিপোর্ট করায় সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা। এমন দেশে আপনি ভালো কি আশা করতে পারেন?
বিএনপি ও জামায়াত জন্মলগ্ন থেকেই কখনোই এই দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি। ইউনূসের মত ক্ষমতার পেছনের রাস্তা দিয়ে জন্ম হয়েছিল বিএনপির।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে বিএনপির যাত্রা শুরু হয়েছিল তারাই বাংলাদেশে রাজাকার পুনর্বাসন করেছে।যে রাজাকারদের একদিন তারা পুনর্বাসিত করেছিল আজ তারাই আওয়ামীলীগের অনুপস্থিতে বিএনপির প্রধান গলার কাঁটা হয়ে গেছে। বিএনপি এখন জামায়াতকে গিলতে ও পারছে না, না পারছে বমি করে ফেলে দিতে।
দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতি করা শেখ হাসিনা বিএনপি ও জামায়াত দুটো দলকে খুব ভালোভাবেই চিনেন।এই খুনীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা কতোটা কঠিন তা তিনি খুব ভালো করেই জানেন। বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি কিছুদিন আগেও যে শেখ হাসিনার প্রতিকুলে ছিল তা ধীরে ধীরে অনুকুলে আসতে শুরু করেছে। এরপরও শেখ হাসিনা নিরব কেন?
শেখ হাসিনা নিরব থাকার অসংখ্য কারণের মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে যাদের জন্য তিনি গত ১৬ বছর এত উন্নয়ন করলেন , যাদের জন্য তিনি রাত দিন পরিশ্রম করলেন, সেই মানুষগুলো দেশের এই দুর্দিনে নিজেদের কতটুকু সংগঠিত করতে পেরেছে?
আমরা কি আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে বের হতে পেরেছি?
দেশের এই দুঃসময়ে যেখানে আমাদের সবার একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন সেখানে আমরা কতটুকু একতাবদ্ধ হতে পেরেছি? আমরা কি প্রতিটি স্তরে আমাদের নেতা নির্বাচিত করছি নাকি এখনও নিজেদের মাঝে বাদানুবাদের রাজনীতিতে জড়িয়ে আছি? যদি আমাদের অবস্থা নিজেদের মধ্যে অন্তর্ঘাতমূলক হয় তবে শেখ হাসিনা কেন আসবেন? তিনি আসলে কাদের জন্য আবার এই বাংলায় ফিরে আসবেন?
সত্য সবসময় সুন্দর। লুসিড ড্রিম