।। শরীফুজ্জামান শরীফ।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রাতে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে যারা মিছিল করছে এদের সবার রাজনীতি আছে-এরা সবাই রাজনীতি করে।
আগামী মাসে নাকি ডাকসু নির্বাচন
তাহলে একটা সংগঠন কেন তার নেতাদের পরিচয় করিয়ে দিতে কমিটি ঘোষণা করতে পারবে না।
শিবির যখন হলে হলে পানির ফিল্টার দিলো তখন কেউ বলেনি- ছাত্র সংগঠন এর একটিভিটি চলবে না।
কাল যদি ছাত্রদল হলে হলে
ক্যারাম বোর্ড দেয় এরা কি বিরোধিতা করবে?
হা করবে। কারন এদের মধ্যে প্রায় সবাই শিবির। সাধারণ ছাত্র এদের কেবল জার্সি।
এরা শিবির এর বাইরে কারো কোন একটিভিটি করতে দেবে না।
ক্যাম্পাসের সমস্যা তো ছাত্র সংগঠন এর কমিটি না- সমস্যা হলো তাদের গুন্ডামী- দখলদারিত্ব।
ছাত্র শিবির এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি আছে-এনসিপির ছাত্র সংগঠন এর আছে- ছাত্রদলের আছে তাহলে হলে কেন থাকতে পারবে না।
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে না- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলবে না বলা হয়েছে কিন্তু এর আগে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়েছে বুয়েট থেকে- এখনকার সেক্রেটারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আবার কিছু দিন আগে তিতুমীর কলেজে যে ছেলেটা মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিলো ছাত্র রাজনীতি চাই না
কিছুদিন পর দেখা গেল সে শিবির এর কলেজ কমিটির সেক্রেটারি হয়েছে।
কেউ কি বিশ্বাস করবে ছাত্র শিবির- ছাত্র ইউনিয়ন বা ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় সভাপতি বা সেক্রেটারি হচ্ছেন যিনি আগে কখনো ছাত্র সংগঠন এর কোন পদে ছিলেন না- হঠাৎ তিনি সভাপতি বা সেক্রেটারি হয়ে গেছেন।
তার অর্থ হচ্ছে এরা গোপনে ছাত্র সংগঠন করবে কিন্তু অন্য কেউ প্রকাশ্যে ছাত্র সংগঠন করতে পারবে না।
যে অশ্লীল ভাষায় ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে টিএসসিতে স্লোগান দেয়া হচ্ছে এটা কোন সাধারণ ছাত্র দেয়ার সাহস রাখে না।
অনুসন্ধান করেন-
পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করছে শিবির।
শিবির বলে- ছাত্র রাজনীতি হলে আবরার ফাহাদ হতে হবে কিন্তু আবরার ফাহাদ এর খুনের দায়ে যাদের ফাঁশি হয়েছে তাদের কার কার পক্ষের উকিল ছিলো জামাতের শিশির মুনীর!
বিএনপির উদারতা- দুর্বলতা কখনো কখনো দু নৌকায় পা দেয়া অথবা সাপ ও ব্যাঙএর মুখে চুমু খাওয়ার নীতি নিজেই নিজেকে কোনঠাসা করে ফেলছে।
বিএনপি এখনো টের পাচ্ছে না তাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার ছক আকছে তারাই যারা দীর্ঘ সময় তার পাখার নীচে উত্তাপ নিয়েছে।