বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অপরাধে সাত জন ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার ও ২৪ জন শিক্ষার্থীর সনদপত্র বাতিলের পর একই কায়দায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, রিজেন্ট বোর্ডে চার ক্যাটাগরিতে ২৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজীবন বহিষ্কার করা হয় ৬ জনকে এবং ৪ জনকে সাময়িক ৩ বছর বহিষ্কার করে শাস্তি কার্যকর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও ১১জন শিক্ষার্থীর আজীবনের জন্য সনদ বাতিল সহ, ৩ বছরের জন্য সনদ স্থগিত করা হয়েছে ৭ জনের।
আজীবনের জন্য সনদ বাতিলের মধ্যে আছেন, লিংকন হোসেন (বাংলা বিভাগ, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ), মো. নুরুল্লাহ (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ), মাসুদ রানা সরকার (গণিত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), হামিদুর রহমান শামীম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), ইকরামুল ইসলাম (বাংলা বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), মিনহাজুল ইসলাম প্রান্ত (সমাজকর্ম বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), রাসেল হোসেন রিয়াদ (বাংলা বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), বিল্লাল হোসেন (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), সুরুজ মিয়া আপেল (গণিত বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), শেহজাদ হাসান (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), শিবু দাস (লোক প্রশাসন বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)।
৩ বছরের জন্য সনদ স্থগিতের মধ্যে আছেন, শাহেদ জামিন হিরা (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), নাজমুল ইসলাম আবীর (গণিত বিভাগ, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ), সাব্বির হোসেন সবুজ (বাংলা বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), শেখ রাসেল (লোক প্রশাসন বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), সোহানুর রহমান সোহান (ইংরেজি বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), জহরুল ইসলাম পিয়াস (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), জাহির রায়হান (বাংলা বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)।
আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন, ফরিদুল ইসলাম বাবু (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ), নাইমুর নাহিদ ইমন (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), আশিক আরমান শোভন (স্থাপত্য বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), তৌফিক হাসান হৃদয় (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), অয়ন আলমাস (বাংলা বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ), তানশু দাস (ইতিহাস বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)।
৩ বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন, আশরাফুল ইসলাম (গণিত বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ), আকাশ ভূঁইয়া (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ), অনিক পোদ্দার (ইতিহাস বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ), শাহ আলম (ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে ইউনূস গং স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের দখলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে জিম্মি করার পায়তারা করছে। তাই তো বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছিলো, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টিএসসিতে স্বঘোষিত রাজাকার গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদি আর সাকা চৌধুরীদের চিত্রপ্রদর্শনী করে প্রকাশ্যে নিজেদের এক পাকিস্তান কায়েমের ভিশন প্রমোশন করছে শিবির, স্বৈরাচার ইউনূসের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্লজ্জ তাবেদারির ফলে শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসগুলোতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে এখন জামায়াত নেতার সুপারিশ লাগে, এই নজির আর কেউ নয়, পাকিস্তান এজেন্ট ইউনূস স্থাপন করেছে বাংলাদেশে। রাজাকারদের বংশধর শিবিরের সারাদেশে ক্যাম্পাস দখল একটি জাতিগত লজ্জার বিষয়, ইউনূসের সার্বিক সহোযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের ফলে এই অসাধ্য সাধন করতে পারছে শিবির। ক্যাম্পাস দখলের পর শিবির তার স্বাধীনতা বিরোধী ভয়ঙ্কর চেহারা ধীরে ধীরে প্রকাশ করছে। ক্যাম্পাস থেকে শিবির হটিয়ে, স্বৈরাচার ইউনূসের সকল অবিচার-ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বাংলাদেশকে এই দখলদার অপশক্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে এখনি, নাহলে দেশটা আবারো অত্যাচারী পাকিস্তানি দোসরেরা ছিড়ে খাবে।