।। জয়বাংলা প্রতিবেদন।।
ড. মুহম্মদ ইউনুসের আরেকটি মেটিকুলাস ডিজাইন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। নিবার্চনের সম্ভাব্য সময় ফেব্রুয়ারি ঘোষণার সাথে সাথে এনসিপি বলছে, ফেব্রুয়ারিতে নিবার্চন করতে দেয়া হবে না। বা নিবার্চন হবে না। কেন বলছে তারা? অতীতে আমরা দেখেছি, মুহম্মদ ইউনুস যখনই কোনো প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চাইছেন, তখনই তিনি এই তরুণদের কৌশলে উসকে দিয়েছেন। তিনি মুখে বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে চান না। সাথে সাথে এনসিপি বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের কর্মসুচী দিয়ে রাস্তায় নেমে এলো। তারপর তাদের দাবীর মুখে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হলো।ছাত্রদের দিয়ে দাবী তুলে তার ডিজাইন বাস্তবায়ন করলেন। তপ্তরোদে তাদের মিছিলে ঠাণ্ডাজল সিঞ্চিত করে আপ্যায়িতও করলেন। এরপর বঙ্গবন্ধুভবনসহ মুক্তিযুদ্ধের স্থাপত্য ধ্বংসের পর টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করলেন, সেনাপ্রহরায় ও সহযোগিতায় গোপালগঞ্জে অভিযান চালানো হয়।জনতার প্রতিরোধের মুখে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।এসব দেখে শুনে সহজেই বলা যায়, সবগুলো ঘটনা ইউনুসের ডিজাইন, তার কুকর্ম।
আজকে দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবীতে যখন নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হলো, তখনই শোরগোল শুরু হয়েছে, নিবার্চন করতে দেয়া হবে না। কে বলছে? সাদা চোখে আমরা দেখছি, এনসিপি বলছে। কিন্তু এটা এনসিপির বক্তব্য কিনা সংশয় রয়েছে।অন্যদিকে, জামায়াতের সুরও এনসিপির মতো। জায়াত নেতা পরওয়ার বলছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে। এটা হয়তো আগের পন্থায় এনসিপি ও জামায়তের মুখ দিয়ে রাজনীতির মাঠে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, মূলত তারই ডিজাইন করা।কুউদ্দেশে টালবাহানার পথ তৈরী করার পূর্বাবাস। কেননা, তিনি যে আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকতে চান। গণ্ডগোল লাগিয়ে বাদ দিবেন ঘোষিত নির্বাচন।
এনসিপির নাহিদ,নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী নিবার্চন করতে দিবে না,কারণ কি? একই কথা বলছেন তাদের গুরু ফরহাদ মাজহার। তিনি আরো এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, ‘ আবার লড়াই করে গণ-অভ্যুত্থানের দিকে যাবো’। আর নাহিদ পাটওয়ারী বলছেন, জুলাই স্পিরিট বা সনদ বাস্তবায়ন করেই নির্বাচন। যদি সংস্কার বাস্তবায়ন না করে নির্বাচন হয়, তবে জুলাই শহীদদের কবর থেকে ফিরিয়ে এনে দিতে হবে।এ যেন মামার বাড়ি আবদার।
যদিও, এই সরকার যে কোনো সাংবিধানিক বিধান বাস্তবায়ন করতে পারবে না, সেহেতু, নির্বাচন পরবর্তী সরকার যে কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে। একে পাশ কাটানোর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এই বাচ্চাদের দিয়ে নির্বাচনের আগে যে কোনো আইনি বিধান বা সাংবিধানিক পরিবর্তন বাস্তবায়নের দাবী কেন উত্থাপন করা হচ্ছে? তিনি কে? সব মানুষ জানে তিনি ড. মুহম্মদ ইউনুস।
অতএব গণ্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচন বাতিল। ডিজাইনটা কতো অপূর্ব! এবং মধুর!!