গতকাল ১৫ আগস্ট, এই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনে মানুষের ব্যক্তিগত শোক প্রকাশের পথও বন্ধ করে দিয়েছিল বর্তমান ইউনূস সরকার। রাজাকার-বান্ধব এই সরকারের যদি সামান্য দৃষ্টি থাকে, তবে বোঝা উচিত—মব বা পুলিশ দিয়ে কারো ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কখনো রোধ করা যায় না।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলেই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর মানুষের অভাব হবে না। এত বাধা, এত অত্যাচারের মধ্যেও গতকাল ১৫ আগস্ট জনগণ তাদের শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে। লুটপাট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের আমি গণনার বাইরে রাখলাম। দেশের ভেতরে হাজার হাজার মানুষ সেই শোক প্রকাশ করেছে। আর তারা দেখেছে—গরিব মানুষের জন্য এই শোক দিবসে তৈরি করা খিচুড়ি পর্যন্ত লুট করেছে ইউনূস সরকারের পুলিশ বাহিনী।
শোক প্রকাশ আর বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কাউকে ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ বলে গালি দিয়ে নিজেদের চিন্তার আবর্জনা দূর করা যায় না। ন্যাক্কারজনক ইতিহাসের অংশ হতে সবাই চায় না, কারণ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে অবমাননার দায় তাদের বিবেকে তাড়া দেয়। এর জন্য আওয়ামী লীগ করা লাগে না—বাংলাদেশের মানুষের রক্তে মুজিব আর মুক্তিযুদ্ধ মিশে আছে, সেটাই তাদের শক্তি, সেটাই তাদের বিবেককে নাড়া দেয়।
২০২৪-এর ৫ আগস্টের পর থেকে একাত্তরের বিরুদ্ধে টোকাই বুদ্ধিজীবীদের নামিয়ে, নানান মঞ্চের ব্যানারে বক্তৃতা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে—মানুষ তা মোটেও গ্রহণ করছে না।
বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অপমান মেনে নেবে না। ‘জয় বাংলা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু সেটি আওয়ামী লীগের ব্যানার ছাড়িয়ে আবার জনগণের স্লোগান হয়ে ফিরে আসছে।