রাজতন্ত্র থাকাকালীন কমিউনিস্টরা বলেছিল “গণতন্ত্র আনতে হবে।” গণতন্ত্র আনার নামে হাজারো প্রাণ বলি হয়েছে, এমনকি রাজপরিবারও রক্তাক্ত হামলার শিকার। তারপর রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে এল নেপাল। কিন্তু তারপর?
গণতন্ত্রের নামে দুর্নীতি, সরকার পরিবর্তনের খেলায় অস্থিরতা, আর এখন Gen Z আন্দোলনে পুলিশের গুলি—এটাই নেপালের বর্তমান ছবি। প্রধানমন্ত্রী KP Sharma Oli, যিনি স্বয়ং একজন কমিউনিস্ট নেতা, শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। অনেকে বলবেন নেপালে এখন বাম সরকার নেই, কিন্তু আসল সত্য হলো—জোট সরকারের শিকড়টাই বামপন্থী। নাটক যতই হোক, ফলাফল একই—যেখানেই বামপন্থা, সেখানেই গণতন্ত্রের হত্যা।
পশ্চিমবঙ্গের বাম আমল মনে করুন—ভোট মানে ছিল রক্তপাত।
ত্রিপুরার বাম শাসনে বিরোধীরা নিঃশ্বাস নিতে পারত না।
কেরালাতেও আজ একই প্রবণতা।
আন্তর্জাতিকভাবে দেখুন—চীন, উত্তর কোরিয়া, কিউবা—যেখানে বামপন্থীরা ক্ষমতায়, সেখানেই গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই।
নেপালের ঘটনাকে একা দেখা ভুল হবে।
শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল—সব জায়গাতেই একই ছক চলছে। আর ভারতে? কৃষক আন্দোলনের নামে সেই একই ছক আনার চেষ্টা হয়েছিল। বিদেশি অর্থ ঢুকেছিল বিরাট আকারে। সৌভাগ্য যে কেন্দ্রীয় সরকার সজাগ ছিল, তাই পুরো পরিকল্পনা সফল হয়নি। কিন্তু চেষ্টাটা যে থেমে নেই, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
Soros ফাউন্ডেশন:
এটাই মূল অর্থের জোগানদাতা। বিশ্বজুড়ে যেখানে অস্থিরতা, “গণআন্দোলন”, “মানবাধিকার” আর NGO নাটক—সেখানেই Soros এর ছায়া। ভারতে কংগ্রেসের সাথে Soros এর যোগসাজশ কোনো গোপন খবর নয়। বেশ কিছু NGO-র মাধ্যমে কংগ্রেসে টাকার লেনদেন হয়েছে, সেটা সবাই জানে।
বাংলাদেশের উদাহরণও পরিষ্কার:
নোবেলজয়ী মোহাম্মদ ইউনুস কার লোক, সেটা আজ আর লুকানো নেই। Soros এর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অন্যতম মুখ্য চরিত্র তিনি। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরিতে তার ভূমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে।
সংগৃহিত