বাংলাদেশ আজ এক গভীর সংকটের মুখোমুখি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তার উপদেষ্টাদের মদদে গড়ে ওঠা মব বাহিনী দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট, প্রশাসনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা এবং জনগণের উপর জুলুম চালিয়ে তারা ক্ষমতার দখল ধরে রাখতে চাইছে।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী জনগণকে কখনোই দীর্ঘদিন দমন করা যায় না। আজ দেশের মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের সংকট, শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংস এবং নিত্যদিনের দুর্নীতি জনসাধারণকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ইউনুস সরকারের পতন তাই শুধু সময়ের ব্যাপার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই এ সরকারকে ঘৃণার চোখে দেখছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হচ্ছে ড. ইউনুস কোনো গণতান্ত্রিক নেতা নন, বরং তিনি এক জঙ্গী গডফাদার, যিনি বিদেশি শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিচ্ছেন। তার বিচারের দাবি দেশীয়-আন্তর্জাতিক মহলেই জোরালো হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাতী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে আজ অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে অবৈধ মব বাহিনীকে রুখে দিতে হবে, গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এখন সময় এসেছে প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি গ্রাম ও শহরে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার। দলে দলে মানুষকে মিছিলে যোগ দিতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে। জনগণের ঐক্যই হচ্ছে অবৈধ সরকারের পতনের প্রধান শক্তি।
বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তারা জানে—অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই বাঙালির ঐতিহ্য। তাই ড. ইউনুস ও তার দোসরদের পতন নিশ্চিত। প্রয়োজন শুধু সাহস ও ঐক্যের মিছিল।
আজকের এই লড়াই শুধু একটি সরকারের পতনের লড়াই নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই। বিজয় অবশ্যই জনগণের হবে।(আওয়ামীলীগ পেইজ)