বিশিষ্ট কবি,ছড়াকার, সাংবাদিক সৈয়দ কাসেম মিলু(মিলু কাসেম)আর নেই। গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার রাত ১টায় সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ কাসেম মিলু ইন্তেকাল করেছেন( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন দেশে বিদেশে থাকা শত শত মানুষ। সম্প্রতি মিলু কাসেম হোচট খেয়ে পা ভেঙে হাসপাতালের স্মরণাপন্ন হন। চিকিতসকরা ভাঙা পায়ের জন্য চিকিতসা করছিলেন। কিন্ত কে জানতো পা ভাঙাই তাকে কেড়ে নেবে আমাদের কাছ থেকে। লন্ডনে তার ছোটভাইরা রয়েছেন। তারা নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছিলেন চিকিতসার। কেউ কেউ ভাইয়ের পাশে থাকার জন্য দেশেও যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন,ক্ন্তি মিলু কাসেম সেই সময় দিলেন না।
কত আর বয়েস।হয়তো ষাটের কাছাকাছি হবে। বয়স তো তাকে নেয়নি। নিয়েছে দূর্ঘনা ও অপচিকিতসা। মিলু কাসেম ছড়ারকার হিসেবে বাংলাদেশে সেই সত্তর দশক থেকে সুপরিচিত এবং জনপ্রিয়। বাংলাদেশে সত্তর দশকের ছড়া আন্দোলন গড়ে তোলা এক ঝাঁক ছড়াকারদের মধ্যে মিলু অগ্রগন্যদের অন্যতম। তার ঝরঝরে গদ্যও পাঠকপ্রিয়। শুধু ছড়াকার নয়, একজন দ্ক্ষ ও সৌখিন ক্যামেরাম্যান মিলু কাসেমের সর্বক্ষণ সঙ্গী থাকতো ক্যামেরা। কিছুদিন জার্মানীতে ছিলেন। কিন্ত দেশ তাকে টেনে নেয়।
মিলু কাসেম কবি ও ছড়াকার দিলু নাসের ও সৈয়দ আবুল কাসের লিলুর বড় ভাই। গ্রামের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার বিখ্যাত সৈয়দপুর। সিলেট শহরের আম্বরখানা বড় বাজারের বাসিন্দা ও সিলেটে বেড়ে ওঠা তাদের। তাদের পিতা সৈয়দ রায়েছ আহমেদ একজন সুপরিচিত ও জনপ্রিয় সালিশ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।