সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশ’। জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে মো. রিয়াজ (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহতের মামলায় বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে কারাগারে যাওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশে। ভালো থাকুক বাংলাদেশে।’ বার বার একই কথা বলতে থাকেন তিনি। অন্যান্য আসামিরা এসময় মাথা নিচু করে চুপচাপ ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকালে কারাগারে থেকে ব্যারিস্টার সুমনসহ ৭ জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়। এসময় তাদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। এদিন শুনানি শেষে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আদালতে থেকে আসামিদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হয়।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক এবং যাত্রাবাড়ী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
এদিকে শুনানি চলাকালীন অবস্থায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জন্য ‘স্যান্ডইচ ও ড্রাই ফুড’ আনেন তার আইনজীবী মহসিন রেজা। তাকে সেই খাবার দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান এই আইনজীবী। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আসামিকে খাবার দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করেন আদালত।
এ বিষয়ে আমির হোসেন আমুর আইনজীবী মহসিন রেজা বলেন, ‘আসামিকে এক ঘণ্টা পর পর খাবার খেতে হয়। এজন্য তার পছন্দের খাবার স্যান্ডইচ ও ড্রাই ফুড আদালতে আনা হয়। কিন্তু আদালত তাকে এই খাবার দেওয়ার অনুমতি দেননি। আসামি একজন বয়স্ক ব্যক্তি, নানান অসুখে জর্জরিত। এজন্য তাকে প্রতিনিয়ত সময় করে খাবার খেতে হয়।