বাংলাদেশ আজ অমানবিকতার এক গভীর অতলে নিমজ্জিত। সম্প্রতি স্ত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে স্বামীকে তার সামনেই হত্যা করার নৃশংস ঘটনাটি জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এ ঘটনা কেবল একটি পরিবারের ট্র্যাজেডি নয়, বরং রাষ্ট্রযন্ত্রের ভঙ্গুরতা, আইনের ব্যর্থতা এবং শাসনব্যবস্থার অকার্যকারিতার নগ্ন প্রতিচ্ছবি।
*জঙ্গীবাদের উত্থান*
অবৈধ ইউনুস সরকারের আমলে দেশে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদী শক্তির উত্থান ক্রমশ তীব্রতর হয়েছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অনুকরণে এই গোষ্ঠীগুলি গ্রাম-শহরে নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করছে। প্রশাসন যেখানে প্রতিপক্ষ দমন ও ভিন্নমত দমনেই ব্যস্ত, সেখানে জঙ্গীরা পাচ্ছে অবাধ স্বাধীনতা। এভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা জঙ্গীবাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে।
*নারীর নিরাপত্তাহীনতা*
ধর্ষণ আজ নিত্যদিনের অপরাধে পরিণত হয়েছে। বিচারহীনতা, ঘুষ ও দলীয় প্রভাবের কারণে অপরাধীরা শাস্তি পায় না। বরং ভুক্তভোগীরা দ্বিতীয়বার লাঞ্ছিত হয়। সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড শুধু নারীর নিরাপত্তাহীনতার নয়, সমগ্র জাতির লজ্জা। একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে নারীর জীবন এখনও চরম অনিরাপদ এ বাস্তবতা ভয়াবহ।
*মব বাহিনী ও চাঁদাবাজি*
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মব বাহিনী গড়ে উঠেছে, যারা দেশের বাজার থেকে গ্রাম পর্যন্ত জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রতিদিন চলছে চাঁদাবাজি, গ্যাং কালচার, খুন-গুম। রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন দৌরাত্ম্য সম্ভব নয়। জনগণ আজ ভীতসন্ত্রস্ত, আর দুর্বৃত্তরা ভোগ করছে ক্ষমতার আশীর্বাদ।
*দুর্নীতির মহোৎসব*
বাংলাদেশে আজ ঘুষ ও দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। সচিব হতে কোটি কোটি টাকা, চাকরি পেতে ঘুষ, থানায় মামলা করতে ঘুষ, ন্যায়বিচার পেতে ঘুষ,সবখানেই দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতিবাজরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ নিঃশেষ হচ্ছে।
স্ত্রীকে ধর্ষণ ও স্বামীকে হত্যা করার ঘটনা আমাদের জাতীয় লজ্জা ও রাষ্ট্রের ব্যর্থতার স্পষ্ট প্রতীক। এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশ দুর্বৃত্ত, জঙ্গী, ধর্ষক ও চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন সময় এসেছে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অবৈধ ও অমানবিক শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। অন্যথায় আগামী প্রজন্মকে আমরা এমন এক ভাঙা রাষ্ট্র উপহার দেব, যেখান থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হবে।(আওয়ামীলীগ পেইজ)