আজকাল গুপ্ত শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। গুপ্ত বলতে আমরা বুঝি গোপন বা লুকানো। গুপ্তধন, গুপ্তচর।
তবে, গুপ্তের আরো অর্থ আছে। সংস্কৃত ভাষা गोप्तृ বা গোপ্তৃ থেকে গুপ্ত শব্দের উৎপত্তি যার অর্থ হলো ‘অভিভাবক’ বা ‘রক্ষক’।
একসময় গুপ্ত সাম্রাজ্য (৩২০-৫৫০ খৃস্টাব্দ) ছিল উত্তর ও পূর্ব ভারতের স্বর্ণযুগ। এই যুগ ছিল আবিষ্কার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের বিশেষ উৎকর্ষের যুগ; বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত এই যুগেরই ফসল।গুপ্ত যুুগের আমলে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন কালিদাস, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, বিষ্ণু শর্মা -এর অবির্ভাব হয়েছিলো।
রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (পাটনা, বিহার) উজ্জয়িনী (মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত)
অযোধ্যা (উত্তর প্রদেশে অবস্থিত)।
(২) বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আয়ুর্বেদ চর্চাকারী স্বতন্ত্র চিকিৎসক জাতি-গোষ্ঠী বৈদ্যদের পদবী গুপ্ত।
(৩) বিশ্বের সকল সাহিত্যে সাহিত্যিকরা অনেক সময় নিজেদের নাম আত্মগোপন করে অন্য কোনো নামে সাহিত্য রচনা করতেন। বাংলা ভাষাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। হাছন রাজার প্রকৃত নাম অহিদুর রেজা , রবীন্দ্রনাথের ছদ্মনাম ভানু সিংহ, শরৎচন্দ্রের অনিলা দেবী, জহির রায়হানের আসল নাম।মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কবি শামসুর রাহমান ‘মজলুম আদিব’ (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে কলকাতার দেশ ও অন্যান্য পত্রিকায় কবিতা লিখতেন, যার মধ্যে তাঁর বিখ্যাত ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাও রয়েছে।