ফ্যাসিস্ট ইউনূসের সার্বিক সহোযোগিতায় জামায়াতকে জয়ী করার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। বিগত একবছরে একবারের জন্যেও ইউনূস এবং জামায়তের মতের অমিল হতে দেখা যায়নি। জামায়াত ঘেষা দলগুলো বাদে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের শত চাপাচাপির পরেও, এমনকি সেনাপ্রধান ওয়াকারের ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইউনূস নির্বাচনের সময়কাল বিলম্বিত করেছে।
শেষমেশ জামায়াতের কথামত ঠিক রমজানের আগেই নির্বাচনের সময় ঠিক করে অবৈধ এই ফ্যাসিবাদী সরকার। এরই মধ্যে জামায়াত নির্বাচনের মাঠ গুছিয়ে ফেলেছে, সকল স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মব চালিয়ে প্রশাসন দখল করেছে, আদালত থেকে শুরু ইউনূস প্রশাসনেও আরেকটি ডিপ স্টেট সরকার চালাচ্ছে জামায়াত৷ এবারের বিতর্কিত ডাকসু এবং জাকসু নির্বাচনকেও ধরা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে।
বলা বাহুল্য, ডাকসু-জাকসুর মতই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত পন্থী স্কুল কমিটি ও প্রশাসনিক যোগসাজশে অবাধে চলবে ভোট চুরি এবং ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। সুতরাং, জামায়াতকে জেতাতে পুরো গেইম প্লান সেট করে ফেলেছে ইউনূস গং।
আর রিসেট বাটন ও নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির নবজন্মের মত শব্দ বারবার উচ্চারণ করে ইউনূস একাত্তর পূর্ববর্তী পাকিস্তানের উপনিবেশে থাকা বাঙালি জাতির পুনরজন্মের একটি বিশেষ ইঙ্গিত দিতে চাইছে। একদিক দিয়ে ভাবলে ইউনূসের নবজন্মের থিওরিটি সত্যি হতেও পারে। একাত্তর বিরোধী অপশক্তি জামায়াতের মেটিকুলাস এবং স্ক্রিপ্টেট বিজয়ের মাধ্যমে সত্যিই এই জাতির নতুন জন্মই হবে;যথারীতি বিএনপি সহ অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করবে। নবজন্মের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট ইউনূসের পর পাকিস্তানি স্বৈরতন্ত্রের কবলে আবারো অতলে হারিয়ে যাবে বাংলাদেশ।(আওয়ামীলীগ পেইজ থেকে)