এই লোকটিকে চিনতে পারছেন? তিনি ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তার পত্রিকায় সত্য সংবাদ কম, গুজব বেশি প্রকাশিত হয়। মাহমুদুর রহমান পেশাদার সাংবাদিক না হলেও, সাংবাদিকতার আড়ম্বরী ছদ্মবেশে অপতথ্য, ষড়যন্ত্রকারী এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত একজন তথ্যসন্ত্রাসী।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, এক সময় মাহমুদুর রহমানের ‘আমার দেশ’ পত্রিকায় কাবা ঘরের আদলে ছবি ব্যবহার করে একটি খবর ছাপায়। সেখানে দাবি করে, মক্কায় সাঈদী নিজামীর মুক্তির দাবি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আবার, লাতিন আমেরিকার দুর্যোগে নিহত মানুষের ছবি ব্যবহার করে বাংলাদেশি হিসেবে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় এই মাহমুদুর রহমান।
আপনাদের আরও মনে থাকার কথা, এই মাহমুদুর রহমান খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় রাখার জন্য গভীর রাতে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠকও করেছিলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে, মাহমুদুর রহমান গং মুখ ঢেকে পালিয়ে যান, যে ছবি পরের দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
তার নৃশংস প্রতিহিংসার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আরও একবার দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিউইয়র্কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে আদালত সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মাহমুদূর রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এই মাহমুদুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের আদি দুশমন এবং ৭১-এর পরাজিত শক্তির প্রিয় পাত্র। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো, মিথ্যা প্রচার ও গুজব ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা সৃষ্টি এবং সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা তুলনাহীন।
দু:খজনক হলেও সত্য যে, আজ এই তথ্যসন্ত্রাসী মাহমুদুর রহমানকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনিত তথাকথিত মানবতাবিরোধী মামলার সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যাকে বলায় যায়— বিচারের নামে তামাশা।
অথচ, এই মাহমুদুর রহমান নিজেই অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। নানা চক্রান্তের দায়ে বিচার সম্মুখীন হওয়া এবং দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া—এই ব্যক্তিকে সাক্ষী ব্যবহার করা মানে দেশের বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ইউনূস ও মাহমুদ গংরা আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে ভিন্নমত ও ভিন্নদলকে নিশ্চিহ্ন করার যে খেলায় মেতেছে, তা দেশের ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
ইনশাআল্লাহ, অতি শিগ্রিই এই দুঃশাসন ও অপশাসনের অবসান ঘটবে এবং বাংলাদশে আবার সত্যিকারের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেদিন সত্যের জয় হবে, আর হেরে যাবে মাহমুদুর রহমানের মতো চক্রান্তকারীরা।(ক্রাক প্লাটুন বাংলাদেশ পেইজ)