
।।আলমগীর শাহরিয়ার।।
বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কানাডার সরকার। ব্যর্থ ও জঙ্গী রাষ্ট্র সম্পর্কে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তায় এসব সতর্কতা জারি করা হয়। যেমন আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, ইউক্রেন প্রভৃতি। অন্যদিকে, বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছে আরব আমিরাত। ইনক্লুসিভ (মানে ইনক্লুডিং আওয়ামী লীগ) একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দিয়ে অচিরেই দেশটা নির্বাচিত সরকারের হাতে না দিলে এভাবে একে একে এই দেশের জন্য পৃথিবীর সকল দরোজা বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যবসা বাণিজ্যের অলরেডি বারোটা বেজে গেছে। বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ। গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি অলরেডি হুমকির মুখে। আগস্টের পর লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক বেকার। তাদের পরিবার দুর্বিষহ জীবন পার করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পরিস্থিতির কথা নাই বা তুললাম।
দেশ এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়াও বন্ধ করে দেবে উন্নত দেশগুলি। দেশ কতোটা ভালনারেবল হলে পরে প্রায় কাছাকাছি সময়ে এমন সিদ্ধান্তগুলি আসে। ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় বলে তার ঘেটুপুত্ররা যে স্টোরি বানাতেন আজকের বাংলাদেশের করুণ অবস্থা না দেখলে দেশবাসী চিরকাল ভাবতো আমাদের একটা আলাদীনের দৈত্য ছিল। আহা সেই দৈত্যটা আমরা দেশের কাজে লাগাতে পারলাম না।
দুনিয়ার সকল সংকটের কিছু ইতিবাচক দিক থাকে। সকল অন্ধকারে কিছু আলোর রেখা লুকিয়ে থাকে। জুলাই-আগস্ট প্রমাণ করলো এই দৈত্যটা তার ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দেশের ক্ষমতা দখল করে সব করেছিল। শত শত কোটি টাকা কর মওকুফ, স্বজনপ্রীতি, শপথ ভেঙে নিজের ব্যবসার লাইসেন্স, নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে ইউনিভার্সিটি আরও কত কি। কিন্তু দেশের জন্য লোকটা কিছুই করে নাই। সমাজে চরম বিভক্তি, দুর্নীতি আর ঘৃণা বাড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের জীবন বিপন্ন হয়েছে। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, মবসন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী জঙ্গিদের পরম আশ্রয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। দেশকে ঘিরে সবই ছিল তার ফাঁপা বুলি। উপরন্তু, নিজের দেশ নামক মাকে পরাশক্তির হাতে তুলে দেবার সকল আয়োজন সম্পন্ন করছেন নিজেকে গদীনসীন করার প্রতিদানস্বরূপ। তার নেটওয়ার্ক, যোগাযোগ দক্ষতা ছিল ঠিকই তবে সে ক্ষমতা ছিল পশ্চিমা পরাশক্তির স্বার্থ প্রতিষ্ঠায়। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক ঘাঁটি গাড়তে দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নিরন্তর ষড়যন্ত্র করার।
তাহলে কি বাংলাদেশের ইতিহাসে অবধারিতভাবে লেখা থাকবে— ড. মোহাম্মদ ইউনূস নামক আন্তর্জাতিক দৈত্যটি বাংলাদেশ নামক উদীয়মান অর্থনীতির দেশটির জন্য অভিশাপ ছিলেন?