মো. আদনান আরিফ সেলিম
ঢাবি ভিসিকে সাহসের হোপ ব্যাটা বলা, চ.বি তে তোরে আমরাই চেয়ারে বসাইছি বলে হুমকি দেওয়া কিংবা আজকের রাজশাহীতে হাতাহাতি এগুলোর কোনোটাই আমার কাছে গুরুত্ব বহন করে না। তাই এগুলার কোনোটাতেই ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক বক্তব্য দেইনি।
তবে এই ঘটনাগুলা দেখে আমি চরম ভয় পাচ্ছি। দুশ্চিন্তা হচ্ছে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে। এই ধরণের চেয়ারগুলোতে যারা ইদানিং বসছেন তারা ব্যক্তিত্ব এমনভাবে বিক্রি করে আসছেন যে তাদের জন্য করুণা করা যায়। তাদের পক্ষে বিপক্ষে কিছু বলা যায় না।
শরীফ এনামূল কবি, বুয়া ফার্জানা কিংবা নুরু পাগলা ভি.সি বিষয়টাকে জাহাঙ্গীরনগরের বাস্তবতায় গালিতে পরিণত করেছিলেন। একইভাবে আরেফিন সিদ্দিক, বাইট্ট আখতার, কালা হারুন কিংবা বলদা কলিমরা ভিসি শব্দের মান ইজ্জত বলতে যা কিছু ছিল তা বুড়িগঙ্গায় চুবিয়েছে। এরপর বাকি থাকে শুধুই অন্ধকার।
জানি না নিজের ভবিষ্যতে কী আছে। দলকানা পোলাপানকে কুকর্মে বাধা দিতে গিয়ে দৌড়ানি কিংবা ঠ্যাঙ্গানি কবে কী খাই জানি না। তবে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে এটুকু প্রার্থনা করে রাখছি যে কারও দয়ায় বিশেষ করে ছাত্র সংগঠনের অছাত্র আপদগুলার বেয়াদপি সহ্য করে এইসব পদ পদবি ধরে রাখার আগে যেন শিক্ষক এবং মানুষ দুই হিসেবেই আমার মৃত্যু হয়।