বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে উচ্চারিত এক বাক্য আমরা কোথাও যাবো না, ওরাই আসবে”—আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। মহাজনের বক্তব্য, যা মূলত রাজনৈতিক রসিকতা কিংবা শক্তির প্রদর্শনী হিসেবে বলা হয়েছিল, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সেটিকে একেবারেই সরলভাবে গ্রহণ করেছে।
ফলাফল কী?
আরব আমিরাত ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে লজ্জায়। ডেনমার্ক ছাত্রদের জন্য ভিসা কঠিন করেছে। ইউকে, নরওয়ে এবছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশিদের স্টুডেন্ট ভিসা বন্ধ করেছে। ভিজিট ভিসা পাওয়াও এখন দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত এই ঘোষণাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
অবাক করা বিষয়, কানাডা উল্টো ব্যাখ্যা করেছে। তারা মনে করছে—বাংলাদেশে বিদেশিদের প্রবেশও নাকি অনিচ্ছুক। অথচ মহাজনের বক্তব্যে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ফলে কানাডার দূরত্ব তৈরি হওয়াটা পুরোপুরিই ভুল বোঝাবুঝির ফসল।
আর এদিকে বাস্তবতা হলো—“আমরা যাবো না” ঘোষণার মাঝেই দেখা গেল, বাইরের শক্তিই আমাদের ভেতরে প্রবেশ করছে। মামুর বাড়ি থেকে ১২০ জন সৈন্য সরাসরি কক্সবাজারে নেমে গেছে। এ কি তবে “ওরা আসবে”—বাণীরই বাস্তব রূপ?
আজকের প্রশ্ন হলো—
রাজনৈতিক বাণী কি কেবল দেশের ভেতরকার শ্রোতার জন্য, নাকি তার আন্তর্জাতিক অভিঘাতের কথাও ভাবা উচিত? যখন একটি রাষ্ট্রনায়ক “আমরা যাবো না, ওরা আসবে” বলে গর্ব করেন, তখন বিশ্ব সম্প্রদায় সেটিকে কূটনৈতিক সংকেত হিসেবেই গ্রহণ করে।
এখানেই ব্যঙ্গাত্মক বাস্তবতা—
আমরা যাচ্ছি না ঠিকই, তবে বিশ্ব আমাদের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করছে একে একে। আর যারা আমাদের দরজায় আসছে, তাদের থামানোর মতো কোনো “মহাজনী বাণী” নেই।