বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছেন, নারীর প্রকৃত সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে আলাদা করতেই হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে আমি থাকতাম, সেখান থেকেও আমাকে তাড়ানো হয়েছে। আমার কোনো ঘর নেই, দেশ নেই। কিন্তু আমি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি এবং মনে করি নারীদের অবশ্যই ধর্মের নামে দমননীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ওড়িশার এসওএ ডিমড টু বি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা ও গবেষণা বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্টেটসম্যান।
তসলিমা নাসরিন আরও বলেন, আইন হওয়া উচিত সমতা ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে, ধর্মীয় মতবাদে নয়, যা নারীর অধিকার খর্ব করে।
পেশায় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তসলিমা নাসরিন তার লেখনী ও মতামতের কারণে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হন।
তিনি বলেন, নারীর মর্যাদা ও সমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং কখনো পিছু হটবেন না। ‘লজ্জা’ ও ‘দ্বিখণ্ডিতা’র মতো বইয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসা এই লেখিকার মতে, শাসনকার্যে ধর্মীয় প্রভাব সকল সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক প্রদীপ্ত কুমার নন্দ। ছাত্রকল্যাণ ডিন অধ্যাপক জ্যোতি রঞ্জন দাস অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইটিইআরের অতিরিক্ত ডিন অধ্যাপক রেণু শর্মা।
নিজের অতীত স্মরণ করে তসলিমা বলেন, তিনি জন্মেছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহে একটি ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম পরিবারে। তার পিতা ছিলেন চিকিৎসক। তিনি তাকে পড়াশোনা করে চিকিৎসক হওয়ার জন্য উৎসাহ দেন। তসলিমা বলেন, আমি বড় হয়েছি সাহিত্য ও সঙ্গীতে সমৃদ্ধ একটি পরিবারে।