আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ এ. আরাফাত এক টুইটে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ড. ইউনূসের অনুসারীদের রাজনৈতিক সহিংসতার সংস্কৃতিকে কটাক্ষ করেছেন। তার মন্তব্যে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অব্যাহত হামলা, নারীনেত্রীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন।
এ. আরাফাত লিখেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ক্ষেত্রে সবাই “ভদ্রতা” দাবি করে, কিন্তু সাবের হোসেন চৌধুরী, সালমান এফ. রহমান, আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলকের মতো আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর ডিম ছোড়াকে বৈধ মনে করা হয়।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এটিই কি রাজনৈতিক সংস্কৃতি? একইভাবে, জাতীয় পার্টির নেতার বাড়িতে হামলা বা তাদের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগকে কি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা উচিত? ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করাও কি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে?
টুইটে তিনি উল্লেখ করেন, এনসিপির কোনো নারী নেত্রীকে সমালোচনা করা মানেই ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলা হয়, অথচ আওয়ামী লীগের নারীনেত্রীদের জুতার মালা পরানো হয়েছে, চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে মারধর করা হয়েছে। তখন ড. ইউনূসের অনুসারীরা এসব ঘটনা দেখতে চায়নি।
তবুও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখেছে— তারা ফখরুলকে স্পর্শ করেনি, এমনকি এনসিপির নারী নেত্রীকেও ডিম ছুড়ে আক্রমণ করেনি।
আরাফাত বলেন, যদি ফখরুলের জায়গায় ওবায়দুল কাদের থাকতেন, তবে নিশ্চিতভাবেই ডিম নিক্ষেপ হতো। একইভাবে, যদি সেই নারী নেত্রী আওয়ামী লীগের হতেন, তবে তাকেও ডিম হামলার শিকার হতে হতো। গত এক বছরে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি এবং ইউনূসের সশস্ত্র বাহিনী এই সংস্কৃতিই চালু করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে অপমান করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীদের লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এমনকি এক ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে, তাকে না পেয়ে নামাজরত অবস্থায় তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতা পৌঁছেছে নৃশংসতার চরম পর্যায়ে।