বাংলাদেশ আজ এক সংকটাপন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আছে। অবৈধ ইউনুস সরকার ক্ষমতায় বসে দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। রাষ্ট্রকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার, অদক্ষ নেতৃত্ব, অর্থনীতির অবনতি এবং আইন-শৃঙ্খলার পতন দেশ আজ যেন যুদ্ধবিধস্ত। সাধারণ মানুষ কষ্টে ভুগছে, আর দেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশ্নবিদ্ধ। এই ব্যর্থতার মূল কারণ স্পষ্ট একটি অবৈধ, স্বার্থপর ও অদক্ষ নেতৃত্ব।
এই অস্থিতিশীলতার মাঝে দেশের মানুষের একমাত্র আশা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেশকে আবার সুসংগঠিত ও শক্তিশালী নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। জনগণ জানে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে ৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব। এই বিশ্বাসের কারণে দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা তার প্রতি অগাধ।
গত ১৬ বছরে যারা প্রকৃতভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেছেন, তারা আজ দেশের জন্য কাজ করছেন। তাদের কাজ জনগণ দেখেছে এবং তা মূল্যায়ন করেছে। মানুষ চায় উন্নয়ন, চায় জীবনমানের উন্নতি, চায় শান্তি ও নিরাপত্তা। আর তারা জানে, শেখ হাসিনা একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক যিনি জনগণের কল্যাণকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই দেশের মানুষ তার সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন ও নেতৃত্বের প্রত্যাশায় দিন গণনা করছে।
দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সততা, নৈতিকতা এবং প্রকৃত নেতৃত্বের উপর। যদি শক্তভাবে হাল ধরার দায়িত্ব নেওয়া না হয়, তাহলে বাংলাদেশ মৌলবাদী জঙ্গিদের ঘাঁটি হয়ে উঠবে, বিদেশী শক্তির কলোনীতে পরিণত হবে, দরিদ্রতা ও দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে, সমাজের ভাঙন অমূল্য ক্ষতির কারণ হবে।
এই মুহূর্তে দেশের সমস্ত দেশপ্রেমিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইউনুস ও তার স্বার্থপর অনুসারীদের পতনের আহ্বান জানাতে হবে। বাংলাদেশকে আবার মর্যাদা, শান্তি ও সংবিধানের পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বই একমাত্র আশা, একমাত্র সমাধান। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার স্বাবলম্বী, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।