বাংলাদেশের জনগণ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। অবৈধ ইউনুস সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে গুপ্ত হত্যা অভিযান শুরু করেছে। প্রতিদিন নদী, নালা, বিলে লাশ ভাসছে। কিন্তু দেশের মানুষকে চুপ থাকতে বাধ্য করা, গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামানোই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।
টার্গেট কিলিং সমাজের সব স্তর আতঙ্কিত
এই হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছে সন্ন্যাসী, পুরোহিত, স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকা, সাংবাদিক, চিকিৎসক, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, রিক্সাচালক কেউ নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষের মাঝেও ভয় সৃষ্টি করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে টার্গেট কিলিং চালাচ্ছে। কোনো পার্থক্য করা হচ্ছে না, সমাজের শিক্ষিত বা অবগত মানুষও রক্ষা পাচ্ছে না।
সরকারের দমননীতি ও উদ্দেশ্য
অবৈধ ইউনুস সরকার গণবিরোধী আন্দোলন থামাতে হত্যা ও সন্ত্রাসকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মানুষের নিরাপত্তা এই সরকারের কাছে কিছুই নয়। গণতান্ত্রিক অধিকারপ্রতিষ্ঠা, প্রতিবাদ, অসন্তোষ এসবই এখন খুনের লক্ষ্য। অভিযোগ রয়েছে, তারা নিজেরা সরাসরি হত্যায় অংশ নিচ্ছে এবং জঙ্গি গোষ্ঠীর মাধ্যমে হত্যা কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করছে।
জঙ্গি সহায়তা ও ষড়যন্ত্র
এই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিচ্ছে সুপরিকল্পিত জঙ্গি গোষ্ঠী। তারা সরকারকে সহায়তা করছে, গণমাধ্যম, সামাজিক আন্দোলন ও রাজপথের প্রতিরোধ দমন করছে। দেশে এক অদৃশ্য ভয় ও আতঙ্কের চাদর নেমে এসেছে, যেখানে কেউ নিরাপদ নয়।
গুপ্ত হত্যার এই ন্যাক্কারজনক নীতি দেশের মানবিক ও রাজনৈতিক বিবেককে নাড়া দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত, আন্দোলন দমন হচ্ছে, রাজনীতি থমকে যাচ্ছে। শিক্ষিত সমাজ, সাংবাদিক সমাজ, চিকিৎসক সমাজ সব ক্ষেত্রেই মানুষের জীবন বিপন্ন। দেশের প্রতিটি স্তর এই হত্যাকাণ্ডের প্রভাবে অচল হয়ে পড়েছে।
জাতির বিবেকের ডাক
এখানেই দাঁড়ায় দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক কর্তব্য। এই হত্যাযজ্ঞ শুধু এক দলের প্রতি হুমকি নয়, এটি জাতির স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতি আঘাত। আমরা সহ্য করতে পারি না যে, সরকারের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রাণসংহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ আজ এক নাজুক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ ইউনুস সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে গুপ্ত হত্যা, জঙ্গি সহায়তা এবং রাজনৈতিক দমন চালাচ্ছে। জাতির বিবেককে এখনই জাগ্রত হতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে নজরদারি, গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে, দেশের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারময় হবে।
গণতন্ত্রের অধিকার, মানুষের জীবন এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আজ দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে সচেতন হতে হবে। এখনই প্রতিরোধের সময়।