প্রিয় দেশবাসী,
সবাইকে জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। উৎসবের বাংলাদেশে আজ যে ঘনঘোর সংকট, তা কাটিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আবার মুক্তি লাভ করবে এটাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা।
আনুষ্ঠানিকতা, প্রার্থনার পাশাপাশি উৎসবের সামাজিক–সাংস্কৃতিক দিকটি আমাদের সবার জন্য প্রাসঙ্গিক আর সেখানেই উৎসব হয়ে উঠে ধর্ম-বর্ণ–নির্বিশেষে সর্বজনীন। বাংলাদেশের মানুষ সকল সময়ে একে অন্যের পাশে থেকে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ জানে মানুষকে ভালবাসতে আর সহমর্মী হয়ে পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু আজ কুচক্রীদের হাতে, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীদের কাছে বাংলাদেশের মানুষ বন্দি হয়ে আছে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করে রাজনীতির যে উন্মত্ত খেলায় আজ তারা দেশের ধ্বংস করতে উদ্যত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অবশ্যই তা প্রতিহত করবে।
অতীতে বাংলাদেশে পারিবারিক পূজা বেশি হলেও এখন বারোয়ারি দুর্গাপূজা বেশি হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর গতবছরের ৫ আগস্টের পর অত্যাচারের যে বহুমাত্রিক তাণ্ডব চালানো হয়েছে তাতে পুরো পৃথিবী আজ স্তম্ভিত। ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপরে নির্যাতনের এই বীভৎস সময়ের মধ্যেও আমি শুভকামনা জানাচ্ছি বাংলাদেশের সনাতন ধর্মের সকল মানুষকে।
শুভ শারদ ও সবার মঙ্গল কামনা করছি।
আশা করি সকল অশুভ শক্তি মুছে গিয়ে আনন্দঘন উৎসবে মুখর হয়ে উঠবে এই শারদীয় দিনগুলো। আগামীর বাংলাদেশ আবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় উৎসবের বৈচিত্র্যের বাংলাদেশ হবে। সকল আনন্দ-বেদনায় আমরা থাকবো একে অন্যের পাশে। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আঁধার কেটে ভোর হোক বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।