বিএনপি নামের দলটি আজ বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ ছাড়া আর কিছু নয়। নিজেদের “জনগণের দল” বলে প্রচার করলেও বাস্তবে তারা জনগণের রক্ত চুষে খাওয়া এক চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি আর চাটুকারীর দল।
ক্ষমতায় আসার আগেই চাঁদাবাজি
বিএনপি ক্ষমতায় বসার আগেই চাঁদাবাজির মহড়া দিয়েছে। থানায় মামলা তুলতে টাকা, কোর্টে রায় পেতে ঘুষ, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খোলা চাঁদা—সবই ছিল বিএনপির সংস্কৃতি। স্কুল-কলেজে তাদের নেতাকর্মীরা অস্ত্রের ঝনঝনানি আর চাঁদাবাজির দাপটে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। জনগণের জন্য রাজনীতি নয়—বিএনপির রাজনীতি মানে ছিল লোপাট, টেন্ডারবাজি আর সন্ত্রাস।
জঙ্গী উত্থান ও অরাজকতা
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দেশজুড়ে জঙ্গী উত্থানের সুযোগ করে দিয়েছিল। নিরীহ মানুষ, সংখ্যালঘু, সাংবাদিক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কেউই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পায়নি। দেশে গণতন্ত্র নয়, বরং অরাজকতা ছড়ানোই হয়ে উঠেছিল বিএনপির প্রধান কৌশল।
আজকের চাটুকারীতা
সময় গড়িয়েছে, কিন্তু বিএনপির চরিত্র বদলায়নি। আজ তারা ইউনুস সরকারের চাটুকারীতে মেতে আছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি সবকিছু বিসর্জন দিয়ে বিদেশি প্রভুদের পদলেহনে ব্যস্ত। আমেরিকার হুকুমে নাচা, পাকিস্তানের সাথে আঁতাত এটাই আজ বিএনপির মূল এজেন্ডা।
মহাসচিব না বডিগার্ড
সবচেয়ে লজ্জাজনক দৃশ্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমেরিকায় গিয়ে ইউনুসকে পাহারা দিতে বডিগার্ডে পরিণত হয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে একটি বড় দলের মহাসচিব কি আদর্শের প্রতীক নাকি বিদেশি প্রভুর দেহরক্ষী? বিএনপি কি রাজনৈতিক দল নাকি বিদেশি চাটুকারদের ভাড়াটে সৈন্যদল?
বিএনপির আসল রূপ
জনগণ বোঝে গেছে বিএনপি মানেই বিশ্বাসঘাতকতা। বিএনপি মানেই পাকিস্তানপ্রেম, বিএনপি মানেই জঙ্গী উত্থান, বিএনপি মানেই চাঁদাবাজি আর বিদেশি দালালি। তারা জনগণকে ব্যবহার করে, অথচ জনগণের পাশে দাঁড়ায় না।
বাংলাদেশের মানুষ আজ ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপির থেকে । এরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির উত্তরসূরি, যারা সুযোগ পেলেই দেশকে বিক্রি করে দেয় বিদেশি দালালের কাছে।
বিএনপি আর কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়—এটি একটি চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, জঙ্গী উত্থানকারী, চাটুকার ও দেশবিরোধী গোষ্ঠী। বিএনপির ধ্বংসই বাংলাদেশের মুক্তির একমাত্র পথ।’