
মো. হরমুজ আলী
৫ আগষ্টের পর থেকে একধরনের ‘সুশীলদের’ মাঝে আওয়ামী লীগের ‘চল্লিশা’ নিশ্চিত করে বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র এবং সঠিক চেতনাধারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার একটা জোর তৎপরতা দেখা যায়! ভাবখানা এমন…
যেহেতু, এদেশে একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তাই মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক একটা দল না-থাকলে কেমন লাগে!
যেহেতু, জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এবং জিয়া নিজে যেখানে বলেছেন যে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, তারপরও গত ৫০ বছরের কুতর্কে মোটামুটিভাবে ঘোষক হিসেবে বাজারে একধরনের বলাবলি আছে, তাই আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিএনপিকে ঐ জায়গায় বসানোর চেষ্টা করা হউক!
এখন, যে যুদ্ধাপরাধী জামাত গত ৫৪ বছরেও ‘৭১এর গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি বা প্রয়োজন মনে করেনি, সেই জামাত যদি দলেদলে বিএনপিতে যোগ দেয়া শুরু করে তাহলে বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বানানো কী কঠিন হয়ে যাবেনা!
অন্যদিকে, জামাতের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই যে এরা বিএনপিতে ঢুকছেনা, তারই বা নিশ্চয়তা কে দেবে! তা-ই যদি হয়, তাহলে বিএনপি নামক দলটি কী আর সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের থাকছেনা! না-কি বিএনপি যে আসলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি নয় কিংবা ছিলনা, সেই পর্দাই সরে যেতে শুরু করেছে! ‘সুশীলরা’ কী বলেন!