মনজুরুল হক
মিডিয়াতে গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই ইন্টেরিম এবং ‘কিংস পার্টির’ লোকজনের কিছু সত্যবাদী যুধিষ্ঠির-টাইপ কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। এসব যে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র কষার জন্য টাইম পারচেজ সেটা বুঝতে না পেরে সাধারণ মানুষ এবং বিগত সরকারের এক শ্রেণীর অ্যাক্টিভিস্ট আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। ‘দুর্জনের ছলের অভাব হয় না’ এই কথাটি মাথায় রাখলে এসব যুদ্ধকৌশল বুঝতে সমস্যা হয় না।
📍
হঠাৎ করেই এনসিপি’র আহ্বায়ক বলেছেন- ‘অর্ধেক উপদেষ্টারা আখের গুছিয়ে নিয়েছেন, তাদেরকে বিশ্বাস করা ভুল হয়েছে’। তিনিই আবার বলেছেন-‘ড. ইউনূসকে বিশ্বাস করে ভুল করেছি’ কিংবা ‘ড, ইউনূস চলে গেলে আমরাও চলে যাব’। পাশাপাশি সার্জিস বলছেন-‘মৃত্যু ছাড়া কিছু উপদেষ্টার কোনো সেফ এক্সিট নেই’…….এসব হচ্ছে যুদ্ধে নিহত মৃতদেহের সঙ্গে মৃতবৎ পড়ে থেকে দেখানো যে ‘আমিও মরে গেছি’! যেই প্রতিপক্ষ তাকে মৃত ভেবে ক্রস করে চলে যাচ্ছে, তখন পেছন থেকে গুলি করবে।
এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর ইউনূস বললেন-‘যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে’।
📍
এই সবগুলো স্টেটমেন্টই প্রিপ্ল্যান্ড। জনগণকে ধোকা দেওয়া। আওয়ামী লীগের হঠাৎ উৎসাহী হয়ে ওঠা কর্মীদের বিভ্রান্ত করা। তবে এইসব কথার মধ্যে একেবারেই বাস্তবতা কিছু নেই সেটা বলা যাবে না। কী সেই বাস্তবতা?
📍
১। “Bangladesh interim govt faces international criticisms over human rights violations” শিরোনামে India Blooms News Service ৪ অক্টোবর ২৫’ এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে―”জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬০তম অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের লঙ্ঘন” শীর্ষক আলোচনায় ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশের অবনতিশীল পরিস্থিতি তুলে ধরে অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছিল, যেখানে হাসিনার শাসনের পতনের পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং মন্দির ও সুফি মাজার ধ্বংসের ঘটনা দেখানো হয়েছিল।
এতে হাসিনার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মীদের হুমকি ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনাবলিও দেখানো হয়েছিল।
📍
প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স (কানাডা) এর সভাপতি অধ্যাপক মোঃ হাবিবে মিল্লাত; ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য এবং সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম (বেলজিয়াম) এর নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাসাকা; রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালাইসিস গ্রুপ (ভারত) এর পরিচালক সুহাস চাকমা; নেভার অ্যাগেইন অ্যাসোসিয়েশন (পোল্যান্ড) এর নাতালিয়া সিনিয়াভা-পানকোভস্কা; এবং ন্যারেটিভ-৩৬০ (যুক্তরাজ্য) এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন।
📍
অধ্যাপক মিল্লাত জানিয়েছেন যে “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কমপক্ষে ২১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অন্যদিকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানগুলি ধ্বংস করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় ৬৩৭ জন নিহত হয়েছে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের বড়দিনে ১৭টি গির্জায় আগুন দেওয়া হয়েছে। গত ৫৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। কেবল সংখ্যালঘু নয়, সকল জনগোষ্ঠী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে… গত ১৪ মাসে কাউকেই রেহাই দেওয়া হয়নি। ২৫০০ টিরও বেশি নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে,”
📍
এসময় বেলজিয়ামের পাওলো কাসাকা, ইউরোপীয় সংসদের প্রাক্তন সদস্য এবং দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পরিস্থিতিকে ‘মানবিক সংকট’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন―’এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত নির্বাচনই জালিয়াতি। ‘
📍
এর মধ্যে ঢোলে বাড়ি মারার ঘটনা ঘটেছে লন্ডনে। গত ৩ অক্টোবর ২৫’ তারিখে The Times “British MPs call for an early & inclusive polls in Bangladesh; criticises human rights situation” এই শিরোনামে একটি রিপোর্ট করেছে। যেখানে বাংলাদেশে মানবাধিকারের লঙ্ঘন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো ছাড়াও ব্রিটিশ সরকার এবং জাতিসংঘকে সংস্কারের জন্য ঢাকার উপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। The Times এর রিপোর্টটি ৪ তারিখে ‘bdnews24.কম’ অনুবাদ করে ছেপেছে।
📍
ব্রিটিশ এমপিরা―” শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং একটি স্থিতিশীল বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্পষ্ট এবং সময়সীমাবদ্ধ পথ” তৈরিরও আহ্বান জানিয়ে বলেছেন- ‘যে আস্থা ও জবাবদিহিতা পুনরুদ্ধারের জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ অপরিহার্য। ‘ তারা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে ‘systemic failures’ বলেছেন এবং ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আটক’ বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেছেন-‘আসন্ন নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু দলের নিষিদ্ধকরণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণসহ ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বাড়তে পারে।“
চিঠিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিস, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা – ন্যায়বিচারের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা, নাগরিক স্বাধীনতার সুরক্ষা এবং দায়মুক্তির অবসান ঘটাতে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করার” আহ্বান জানানো হয়েছে।
📍
চিঠিটি যারা পাঠিয়েছেন তাদের পরিচয়―
১। স্টিভেন পাওলস কেসি: আন্তর্জাতিক অপরাধ, প্রত্যর্পণ এবং মানবাধিকারে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন বিশেষজ্ঞ ফৌজদারি আইনজীবী।
২। বব ব্ল্যাকম্যান এমপি: ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিবিদ। যিনি ২০১০ সাল থেকে হ্যারো ইস্টের সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩। জ্যাস আথওয়াল এমপি: ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ যিনি ৪ জুলাই, ২০২৪ সাল থেকে ইলফোর্ড সাউথের সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৪। নীল কোয়েল এমপি: ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ যিনি ২০১৫ সাল থেকে বারমন্ডসে এবং ওল্ড সাউথওয়ার্কের সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৫। গুরিন্দর সিং: ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ যিনি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে স্মেথউইকের সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৬। লুক আকেহার্স্ট: ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ এবং উত্তর ডারহামের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ৪ জুলাই, ২০২৪ সাল থেকে এই পদে তিনি অধিষ্ঠিত।
৭। লানফেসের ব্যারনেস স্মিথ: ওয়েলশ রাজনীতিবিদ এবং হাউস অফ লর্ডসের সদস্য।
📍
বোঝার উপর শাকের আঁটির মত চেপে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট’-এর সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন-এর ট্রাম্পকে পাঠানো আবেদন।
ইউনূসকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্কারের নিবন্ধে বলা হয়েছে―”জো বাইডেন প্রশাসন ড. ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণকে ‘গণতান্ত্রিক পরিবর্তন’ বলে স্বাগত জানিয়ে একটি ‘ব্যর্থ নীতি’ গ্রহণ করেছিল। তার মতে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনকে আপাতদৃষ্টিতে স্বতঃস্ফূর্ত মনে হলেও এর পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং কাতার ও তুরস্কের অর্থায়ন থাকতে পারে, যা বাইডেন প্রশাসন অনুধাবন করতে পারেনি।
📍
ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে বলা হয়েছে―
“ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন কাল্পনিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ইউনূস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন এবং স্বৈরশাসন কায়েম করেছেন। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ নেতা, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের জন্য কারাগারে পাঠাচ্ছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন বানোয়াট মামলা দিচ্ছেন। কারাগার থেকে ইসলামপন্থী ও সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, যা মানবাধিকারের অজুহাতে মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের জন্য জায়গা খালি করার কৌশল। ইউনূসের সমর্থকরা বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। ড. ইউনূস তার নোবেল শান্তি পুরস্কারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ঘৃণা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন।
📍
মাইকেল রুবিন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ড. ইউনূসের বিষয়ে কঠোর হওয়ার জন্য কয়েকটি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছেন:
১. অভ্যুত্থান হিসেবে স্বীকৃতি: বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনকে একটি ‘ধীর গতির অভ্যুত্থান’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
২. ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা: বিরোধী নেতা ও সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানোর অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
৩. ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ: বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা।
৪. জামায়াতকে সন্ত্রাসী ঘোষণা: ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা।
৫. শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি: একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের বৈধ নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
📍
নিবন্ধের শেষে রুবিন সতর্ক করে বলেন― এই পদক্ষেপগুলো নিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ দ্রুত ‘অসহিষ্ণুতা ও ইসলামি উগ্রপন্থার আঁতুড়ঘরে’ পরিণত হবে, যার পরিণতি হবে ইরানের আয়াতুল্লাহ খোমেনির প্রতি জিমি কার্টারের সরল বিশ্বাসের মতোই মারাত্মক (firstpost, October 4, 2025)।“
📍
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিস, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে পাঠানো চিঠির প্রতিক্রিয়া এবং মাইকেল রুবিন-এর ট্রাম্পের কাছে আর্জির পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এখনও প্রকাশিত হয়নি। তার আগে নিশ্চয়ই ইউনূসের প্রেস বাহিনী তাকে অবগত করেছে। তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে একটু টালমাটাল হয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর এসব কারণেই হঠাৎ করে তিনি আ.লীগের ফেরা নিয়ে আচমকা মুখ খুলছেন এবং তার ‘কিংস পার্টি’র একাধিক নেতারা উপদেষ্টাদের আখের গোছানো এবং সেফ এক্সিট নিয়ে বয়ানবাজী করছেন যেন তারা সাত ধোয়া তুলসী পাতা! কেননা তারাও আখের গোছানোর ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের চেয়ে কম যাননি। ২৫/২৬ বছর বয়সেই এক একজন কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর সঙ্গে চরম ক্ষমতার অপব্যবহার, মবভায়োলেন্স, সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ, স্বাধীনতা-একাত্তর-মুক্তিযুদ্ধ-ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করাসহ আইন-বিচার-নির্বাহী বিভাগ ধ্বংস করে দেশে ‘ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছেন। সুতরাং পরগাছা এনজিও উপদেষ্টাগংয়ের পাশাপাশি তাদেরও সেফ এক্সিট দরকার। পাশার দান পাল্টে গেলে কোনও ইনডেমনিটি তাদের বাঁচাতে পারবে না…. এই সত্যটি হজম করা সহজ নয়। ৮ অক্টোবর ২৫’