ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের চিকিৎসার বিষয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ রেখে চলা অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রয়াণে যুক্তরাজ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে। শোক প্রকাশ করেছেন কবি লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। লেখক ফারুক আহমেদ, কবি হামিদ মোহাম্মদ, কবি ময়নূর রহমান বাবুল, সংস্কৃতিকর্মী সৈয়দ এনামুল ইসলাম, কবি আতাউর রহমান মিলাদ,সংস্কৃতিকর্মী নাজনীন সুলতানা শিখাসহ আরো অনেকে।
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যাওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গাড়িচালক একজনের সহায়তায় তাঁকে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নেন। খবর পেয়ে মাজহারুল ইসলামসহ অন্যরা সেখানে যান। সেখান থেকে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়। পরে সেখানে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে স্টেন্টিং করা (রিং পরানো) হয়।
গত শনিবার থেকে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অক্সিজেন লেভেল কমতে থাকে, ফুসফুসে পানি জমার কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে রোববার সন্ধ্যায় লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল।
তবে পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পুনরায় লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। আজ বিকেল ৫টায় চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নিয়ে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে বলে তাঁর পরিবার, বন্ধু ও স্বজনেরা জানিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে। পরে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হতে পারে।