বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ইতিহাসে এমন এক অন্ধকার অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে আমরা দাঁড়িয়ে আছি—যেখানে বিচারব্যবস্থাকে পরিণত করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিশোধের হাতিয়ারে। একটি অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, দেশনেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সাজানো রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এটি কেবল একজন নেত্রীর বিরুদ্ধে নয় এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র।
*সাজানো অভিযোগের হাস্যকরতা*
যে অভিযোগগুলোকে ভিত্তি করে এই মামলা পরিচালিত হচ্ছে, তা শুধু অযৌক্তিক নয় তা হাস্যকরও। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বিটিভি ভবনে আগুন দেওয়া, মেট্রোরেলে নাশকতা ঘটানো এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০০ মানুষের হত্যার দায়ে। অথচ মামলার তথ্যে উল্লিখিত ‘নিহত’দের মধ্যে অন্তত ৫২ জন জীবিত ফেরত এসেছেন—এমন প্রমাণ সরকার নিজেই জানে। তবু এই ভুল সংশোধন করা হয়নি, কারণ উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার নয়; উদ্দেশ্য রাজনৈতিক প্রতিশোধ, বিভ্রান্তি সৃষ্টি, এবং জাতির আস্থার ভিত্তি ভেঙে ফেলা।
*প্রতিশোধের থিয়েটারে বিচার*
বিচার নয়, এটি এক পরিকল্পিত নাটক। ইউনুস সরকার আজ আদালতকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মঞ্চে পরিণত করেছে। একটি জনগণবিচ্ছিন্ন প্রশাসন যখন ন্যায়বিচারের মঞ্চে প্রতিশোধের রায় লিখে, তখন তা শুধু আদালতের মর্যাদাকেই ক্ষুণ্ন করে না—রাষ্ট্রের সংবিধান ও জনগণের বিশ্বাসকেও পদদলিত করে।
এই অবৈধ শাসন কাঠামো আইনের শাসনকে নিজের হাতে বন্দি করে রেখেছে। আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভয় দেখানোর যন্ত্র হিসেবে, যেখানে রায় আগেই লেখা, আদালত কেবল উচ্চারণ করছে।
*জাতির আত্মপরিচয়ের ওপর আঘাত*
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও দেশের উন্নয়নের প্রতীক। তাঁর বিরুদ্ধে এই সাজানো মামলা কেবল একটি ব্যক্তি-নির্ভর প্রতিহিংসা নয়, বরং এটি পুরো জাতির মর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের ওপর এক গভীর আঘাত।
বাংলাদেশের মানুষ জানে—যিনি জঙ্গিবাদ দমন করেছেন, নারীশক্তির উত্থান ঘটিয়েছেন, দারিদ্র্য হ্রাস করেছেন—তাঁকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা মানে ইতিহাসের সঙ্গে প্রতারণা করা।
*জনগণ আর চুপ থাকবে না*
আজ সময় এসেছে প্রতিরোধের, সময় এসেছে সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার পাশে আছে, থাকবে। শান্তিপূর্ণ, সাংবিধানিক ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই অন্যায়ের জবাব দিতে হবে।
এই সাজানো রায় কার্যকর হলে তা হবে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়, যার দায় বহন করতে হবে এই অবৈধ শাসনযন্ত্রকেই।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে আইনজীবী সমাজ, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষ অন্যায় ও ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। এই সাজানো রায় কেবল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয় এটি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা, স্বাধীনতা ও জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে।
ন্যায়বিচারের নামে এই প্রহসনের জবাব ইতিহাস একদিন দেবে।
আমাদের শপথ ন্যায়বিচার চাই, মিথ্যা রায় নয়। হটাও ইউনুস — বাঁচাও দেশ।