দেশে আজ অশান্তির এক অদৃশ্য ছায়া নেমে এসেছে। সর্বত্র শোনা যাচ্ছে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দেখা যাচ্ছে ভয় আর অবিশ্বাসের মুখ। সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অস্ত্র দেশের জন্য এক সাংঘাতিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু অংশ এবং জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুদ রয়েছে। এসব অস্ত্র কখনো প্রকাশ্যে প্রদর্শিত হয়, কখনো গোপনে ব্যবহৃত হয় সহিংসতা বা ভয় সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে। ফলে সাধারণ মানুষ আজ চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
অবৈধ অস্ত্রের প্রসার সমাজে ভয় ও বিশৃঙ্খলা বাড়িয়ে তুলছে। রাজনৈতিক বিরোধে অস্ত্রের ব্যবহার যেমন গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তেমনি অপরাধ ও জঙ্গি কার্যক্রমও নতুন মাত্রা পায়। স্কুল, বাজার, অফিস সবখানেই মানুষের মনে অজানা আশঙ্কা কাজ করে। যখন নাগরিক নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারে না, তখন রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ও কঠোর ভূমিকা জরুরি। অবৈধ অস্ত্রধারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে রেখে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি সরকারের উচিত অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করা এবং জনগণকে সচেতন করে সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করা।
দীর্ঘমেয়াদে সমাধান সম্ভব কেবল রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সুশাসন ও সামাজিক ঐক্যের মাধ্যমে। অস্ত্রের দাপট নয়, শান্তি ও ন্যায়বিচারই হতে পারে দেশের আসল শক্তি। যখন রাষ্ট্র ও জনগণ একসঙ্গে দাঁড়াবে তখনই অশান্তি পেরিয়ে নিরাপত্তা ও স্থিতির পথ উন্মুক্ত হবে।* আওয়ামীলীগ পেইজ)