বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ছিল রপ্তানি। সেই রপ্তানিই যখন টানা দুই মাস ধরে কমতে থাকে, তখন তা শুধু অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত নয়, বরং গভীর রাজনৈতিক অস্থিরতারও প্রতিফলন। সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ শতাংশ। পরিমাণে যা ১৭ কোটি ডলারেরও বেশি। এই পতন শুধু সংখ্যার খেলা নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে ধ্বংস করার এক পরিকল্পিত চক্রান্ত। তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। এই খাতটি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। যখন এই খাত দুর্বল হয়, তখন তা দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও স্থিতিশীলতার উপর আঘাত হানে।
কিন্তু এই অর্থনৈতিক পতনের পেছনে কারা? কারা এই দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? উত্তর খুঁজতে গেলে চোখে পড়ে জুলাই মাসের সেই ভয়াবহ দাঙ্গা, যা ছিল দেশের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থে, ইসলামিক জেহাদি জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায়, এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনে দেশের গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। এই দাঙ্গার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে সুদী মহাজন ইউনুস ও তার সহযোগী সেনাপ্রধান ওয়াকার। তারা ক্ষমতায় এসেছে অবৈধভাবে, গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করে।
ইউনুস ও ওয়াকার ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে। তাদের ক্ষমতা দখল ছিল একটা কুৎসিত খেলা, যেখানে দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র, এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা সবকিছুই ছিল বাজি। তারা ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের স্বপ্নকে ধ্বংস করে, তাদের আশাকে পদদলিত করে। তাদের ক্ষমতা দখল ছিল একটা অন্ধকারের যুগের সূচনা, যেখানে দেশের মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা, এবং মর্যাদা সবকিছুই হুমকির মুখে। (আওয়ামীলীগ পেইজ)