বাংলাদেশ আজ এক বিপন্ন জনপদ। যেখানে জীবনের আহ্বানের চেয়ে মৃত্যুর হাতছানি বেশি। মানুষের মানবাধিকার প্রদান করা তো দূরের কথা বরং সকল অধিকার হরণ করা হয়। দেশবিরোধী ও গণবিরোধী খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। মানুষ এক অভাবনীয় অবরুদ্ধ দশার মধ্যে আছে। এই অধিকার হারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছে। ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছে, নির্বিচারে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই মবসন্ত্রাস লেলিয়ে দিয়ে তার টুঁটি চেপে ধরার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সমগ্র দেশ যেনো একটা কারাগার এবং ভীত জনগণ বাকরুদ্ধ। অবৈধ দখলদার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্দিষ্ট গোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। আর জনগণ হচ্ছে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। অন্যায় গ্রেফতার আর মবসন্ত্রাসের আতঙ্কে দেশবাসী আতঙ্কগ্রস্ত। এই আতঙ্ক দূর করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে অভয় সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করলেই অবৈধ দখলদার সরকার নির্বিচারে গণগ্রেফতার চালায়, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে হত্যাও করে। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে কলেজ শিক্ষক, রিক্সাওয়ালা-সহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ কেউ রেহাই পাচ্ছে না
সম্প্রতি খুলনা মহানগর ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা জয়নাল আবেদীন জনিকে কারা হেফাজতে হত্যা করা হয়। এভাবে একের পর এক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে। কোনোভাবেই এসব হত্যাকাণ্ড থামছে না। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বিচারে গণগ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হত্যাকারীদের বর্তমানের অবৈধ সরকার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মদদ জোগাচ্ছে এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বিচার প্রাপ্তির পথও রুদ্ধ করা হচ্ছে। তাই এই সকল হত্যার দায় বর্তমান সরকারের। হয়তো এখন এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না এবং গণগ্রেফতার বন্ধ হচ্ছে না। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এর বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক