প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, অনির্বাচিত ইউনূস সরকারের সময় বিচারিক হেফাজতে আওয়ামী লীগের ৩১ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
আজ ১৩ই অক্টোবর, সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তালিকা প্রকাশ করেন জয়।
সেখানে তিনি লিখেছেন, “১০ই অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ইউনূস শাসনামলে বিচারিক হেফাজতে থাকা অবস্থায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তালিকা।”
পোস্টের সঙ্গে তিনি নিহতদের বিস্তারিত নাম–পরিচয়, পদবী, এলাকা ও মৃত্যুর ধরনসহ একটি তালিকা যুক্ত করেছেন।
এই তালিকায় উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নাম রয়েছে। অনেকে নির্বাচনে গ্রেপ্তারের পর, আবার কেউ কেউ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বিডি ডাইজেস্ট কারা হেফাজতে ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর তথ্য অনুসন্ধান করে প্রথম এই তথ্য প্রকাশ করে।
দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, সমকালসহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বগুড়ার কারাগারে এক মাসে চারজন আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া শিলং টাইমস জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মাজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মারা যান।
মানবাধিকার সংগঠন এইচআরএসএসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে বা সংঘর্ষে মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।